আমাদের ভারত, ১১ ডিসেম্বর: বিশিষ্ট তামিল কবি-লেখক, স্বাধীনতা সংগ্রামী সুব্রহ্মণ্য ভারতীকে শ্রদ্ধা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী এক্সবার্তায় লিখেছেন, “আমি মহান সুব্রহ্মণ্য ভারতীকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি একজন দূরদর্শী কবি, লেখক, চিন্তাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তাঁর বাণী অগণিত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও বিপ্লবের শিখা জ্বালিয়েছিল। সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে তাঁর প্রগতিশীল আদর্শ সমানভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক।
আজ, আমি ৭, লোক কল্যাণ মার্গে দুপুরে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর কাজের একটি সংকলন প্রকাশ করব। এই প্রচেষ্টার জন্য আমি সিনি বিশ্বনাথন জিকে অভিনন্দন জানাই।”
প্রসঙ্গত, ভারতী প্রাথমিক শিক্ষার তিরুনেলভেলি এবং বারাণসীতে পড়াশোনা করেছিলেন এবং দ্য হিন্দু, বাল ভারত, বিজয়া, চক্রবর্তী, স্বদেশসমিত্রান ও ভারত সহ বহু পত্রিকার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯০৮ সালে, ব্রিটিশ ভারত সরকার তাঁর বিপ্লবী লেখার জন্য ভারতীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় তিনি পন্ডিচেরিতে (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) পালাতে বাধ্য হন। সেখানে তিনি ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ–ও তামিল লেখক, সাংবাদিক, ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী, সমাজ সংস্কারক চিন্নস্বামী সুব্রহ্মণ্য ভারতীকে (১১ ডিসেম্বর ১৮৮২ – ১১ সেপ্টেম্বর ১৯২১) শ্রদ্ধা জানালেন।
বুধবার তিনি এক্সবার্তায় লিখলেন, “আধুনিক তামিল সাহিত্যের জনক সুব্রাহ্মণ্য ভারতী জিকে তাঁর জয়ন্তীতে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। ভারতী জি তাঁর উজ্জ্বল প্রজ্ঞা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ আলোকিত করেছিলেন। সমাজকে তাঁর আসল আত্মায় পরিণত করার জন্য সংস্কার করেছিলেন। তাঁর আদর্শ আমাদের অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।”
‘মহাকবি ভারতী’ নামে খ্যাত এই কবি আধুনিক তামিল কবিতার প্রবর্তক ছিলেন এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অন্যতম তামিল সাহিত্যিক হিসাবে বিবেচিত। তাঁর অসংখ্য রচনায় স্থান পেয়েছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশাত্মবোধ জাগানো আগুনের গান।