আমাদের ভারত, ২৭ জানুয়ারি: আসিফ নজরুলের ‘ভারত বিদ্বেষ’ নিয়ে উপহাস করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
আসিফ নজরুল একজন বাংলাদেশি লেখক,ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলাম-লেখক। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। জীবিকাসূত্রে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। টিভি টক-শো ও তাঁর কলামে রাজনীতি বিশ্লেষণের জন্য তিনি খ্যাত।
রবিবার রাতে তসলিমা এক্সবার্তায় লিখেছেন, “–আসিফ নজরুল তো ভারত বিদ্বেষী। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চান। তাহলে কেন ভারতের রিপাবলিক ডে উদযাপন করতে ভারতীয় হাই কমিশনে গেলেন?
–আমন্ত্রণ পেয়েছেন, হয়তো সে কারণে গিয়েছেন।
–শত্রুর আমন্ত্রণ রক্ষা করলে তো গুছিয়ে যুদ্ধ করতে পারবেন না। শত্রু ভ্রু পল্লবে ডাক দিলে তো সুরসুর করে চলে যাবেন।
–হয়তো বেতন দিতে গিয়েছিলেন?
–কার বেতন?
–২৬ লক্ষ ভারতীয়, যারা বাংলাদেশে চাকরি করেন, তাদের বেতন।
–ও তাই বলো।”
প্রতিক্রিয়ায় সঙ্গীতা রায় লিখেছেন, “ভারত খাইতে ডাকলে না আইসা যাইবো কই? আ আ তু তু!” রোনাল সিনহা লিখেছেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসিফ নজরুলের ভূমিকা মীরজাফরের নাকি মীরমদনের সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে, এবং তার পুরস্কার বা তিরস্কারও সময় দিয়ে দেবে”।
মাহফুজ খান লিখেছেন, “পুরোই চিটিংবাজ, উভয় ধরনের চরিত্রে রূপান্তরিত।” রঞ্জন বারাই লিখেছেন, “আপা, শত্রুর সাথে মেশাই তো উত্তম। নইলে শত্রুর সাথে বৈষম্য হয়। অন্যদিকে যুদ্ধটা তো মগজেই হওয়া উচিত। স্যার এটাই করেন হয়তো। স্মার্ট।” আশিক মহম্মদ রহমান লিখেছেন, “দ্বিচারিতা”।