পারুল খামারিয়া, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৬ জানুয়ারি: গতকাল সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ভারত মাতা পূজন করল ভারতীয় কিষাণ সংঘ। এদিন সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। গত ২৪ জানুয়ারি ভারত মাতা পূজনের ডাক দিয়েছিল ভারতীয় কিষাণ সংঘ। কিষাণ সংঘের চারটি অবশ্য পালনীয় দিনের মধ্যে অন্যতম হলো ভারত মাতা পূজন দিবস পালন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ভারত মাতার আরাধনা করল কিষাণ সংঘ।
পশ্চিমবঙ্গের সব জেলার বিভিন্ন গ্রামে বা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পালিত হয়েছে এই পূজন। এদিন শুরুতেই ভারতীয় কিষাণ সংঘের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয় ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে। এই অনুষ্ঠানে কিষাণ সংঘের রাজ্য, জেলা, বিকাশ খন্ড ও গ্রামীণ স্তরের কার্যকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
কেন ভারত মাতার আরাধনা করা উচিত সে সম্পর্কে এদিন সব জায়গায় আলোচনা করা হয়। কৃষকদের দুর্দশার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি চাই। মায়ের কাছে আশীর্বাদ নিয়ে লড়াই করার প্রতিজ্ঞা করেন কার্যকর্তারা।
কৃষকরা ফসলের লাভকারী মূল্য পাচ্ছেন না। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও তেমন কাজ হচ্ছে না। জনগণ কৃষকদের কথা ভাবে না, অথচ তাদের উৎপাদন করা খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। গ্রাম থেকে শহরে খাবার পাঠানো বন্ধ করে দিলে হয়তো সবাই কৃষকদের কথা ভাবতে বাধ্য হতেন। কিন্তু এমন কাজ করেন না। কৃষকরা মানবিকতা বোধ সম্পন্ন। করোনার সময়ও তারা জনগণের কাছে বেশি মূল্যে ফসল বিক্রি করেননি। কৃষকরা চান জনগণ ও সরকার তাদের কথা ভাবুক। সেই আশাতেই তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে লড়াই করছেন।
আজকের এই ভারত মাতা পূজন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের ‘সাধারণ সম্পাদক’ আশিস সরকার বলেন, ভারত মাতা পূজন রাজ্যজুড়ে হয়েছে। মা যেন কৃষকদের দিকে মুখ তুলে তাকান, তারা যেন ফসলের লাভকারী মূল্য পান, এই আশীর্বাদ মা যেন করেন। পাশাপাশি আন্দোলনাত্বক কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের অধিকার বুঝে নেবার জন্য লড়াই করছি।
ভারতীয় কিষাণ সংঘের ‘প্রচার প্রমুখ’ ও ‘ভারতীয় কিষাণ বার্তা’ পত্রিকা সম্পাদক মিলন খামারিয়া বলেন, কৃষকদের দুঃখের কথা আমরা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরছি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কৃষকদের কথা ভেবে তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুক- এটা আমরা চাই। পাশাপাশি জনগণও এগিয়ে আসুক কৃষকদের জন্য। সচেতন জনগণ বিভিন্ন কারণে রাস্তায় নামেন, তাহলে যে অন্নদাতাদের উৎপাদিত পণ্য খেয়ে ‘পরজীবী’ হয়ে বেঁচে আছেন; তাদের কথা কেন ভাববেন না। জনগণ সময় থাকতে ভাবুক, না হলে ভাবতে বাধ্য করব আমরা।