Taslima Nasrin, নয়া রাষ্ট্রকে তোপ তসলিমার, পেলেন নেটনাগরিকদের সমর্থন

আমাদের ভারত, ২ সেপ্টেম্বর: “কতগুলো জিহাদির বাচ্চা দেশ চালাচ্ছে”। বাংলাদেশের নাম না করে সোমবার এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নেটনাগরিকদের সিংহভাগের সমর্থনও পেলেন।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েও তাঁর সমালোচনা করে তসলিমা সামাজিক ও মুদ্রণ মাধ্যমে যথেষ্ঠ লেখালেখি করেছেন। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের আগে থেকেই তসলিমার প্রতিক্রিয়া আরও বাড়ে। বাংলাদেশ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত মন্তব্য বা পোস্ট করেছেন তসলিমা। সোমবার তাঁর এক লাইনের পোস্ট-এর চার ঘন্টা বাদে সন্ধ্যা ৭টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা হয়েছে যথাক্রমে ৩ হাজার ১০০, ৩৯ ও ১৩৭।

প্রতিক্রিয়ায় জনৈক রুদ্রশঙ্কর লিখেছেন, “মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ আরেকটি গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হতে চলেছে।” ‘আমি লীনা’ পরিচয়ে কোনও এক নেটনাগরিক লিখেছেন, “একটু আগে আজম খানের লেখা পড়লাম। এরা নাকি পাকিস্তানের সঙ্গে ঐক্য চায়, শুধুমাত্র মুসলমান বলে। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি অত্যাচারটা এতো সহজে ভুলে গেল?”

সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “হঠাৎ জিহাদিরা কী করে উড়ে এসে জুড়ে বসল? হাসিনার শাসনকাল হয়ত খারাপ ছিল। কিন্তু এখন ইউনুসকাল তো ভয়ঙ্কর!” আতায়ুর রহমান আজাদ লিখেছেন, “গৃহযুদ্ধ আসন্ন”। সুশান্ত দেব লিখেছেন, “দেশটাকে লাটে উঠিয়ে ছাড়বে। আর বেশি দিন নয়।” শেখ মিজান লিখেছেন, “চালাচ্ছে শব্দটি যথার্থ নহে, আনকোরা ড্রাইভারের হাতে মটর সাইকেল। বাকিটা কী ঘটে সেটি দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।”

জ্যোতি প্রকাশ সাহা লিখেছেন, “এমনটাই তো মৌলবাদীরা চেয়েছিল। জাহাঙ্গির আলম লিখেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হইতেছে দুর্ভিক্ষ গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে। এম এম রহমান লিখেছেন, “মৌলবাদীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাতীয় সঙ্গীতও পরিবর্তন চায়, এতে নাকি শিরকের মত কিছু শব্দের ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া ভিনদেশি লেখক, ভিন্ন ধর্মের লেখক বলে। এ বিষয়ে কি বলবেন দিদি।”

শান্তনু রায় লিখেছেন, “একটি রিপোর্ট দেখলাম যে কেবল ধ্বংস করে দেশের শিল্প বা উৎপাদন অর্থ নষ্ট হয়েছে দশ হাজার কোটি। ভিখারি হলেও বোধহয় এদের অনুশোচনা নেই। এরা ভাবছে মাদ্রাসা এদের রক্ষা করবে। একটি অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল দেশ, নিজেরাই নিজেদের শত্রু হয়ে উঠল- বেদনাদায়ক!”

তসলিমার বিরোধিতাও করেছেন অল্প ক’জন। যেমন জামিরউদ্দিন লিখেছেন, “বাংলাদেশ কে চালাবে এটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজে মরণ ফাঁদ থেকে কী ভাবে বাঁচবে চিন্তা কর।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *