আমাদের ভারত, ২৫ ফেব্রুয়ারি: সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের হদিশ মঙ্গলবারও মেলেনি। তবে এ দিন পানাগড় বাজারে তাঁর গাড়ির চালক বাবলু যাদবের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং পুরনো জিটি রোডের সংযোগস্থলে গাড়ি উল্টে মারা যান সুতন্দ্রা। গাড়িতে থাকা তাঁর সঙ্গীদের অভিযোগ ছিল, একটি গাড়ি তাঁদের পিছু ধাওয়া করছিল। সুতন্দ্রা ছিলেন ওই গাড়ির আরোহীদের ‘লক্ষ্য’।
অভিযোগ, যুবতীকে অশালীন ইঙ্গিত এবং উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করছিলেন কয়েক জন যুবক। যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ জানায় অন্য কথা। তাদের দাবি, দু’টি গাড়ির রেষারেষিতে দুর্ঘটনা হয়েছে। ‘ইভটিজ়িং’-এর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের দাবি, বাবলু যাদব পানাগড়েরই বাসিন্দা। তার গাড়ির ব্যবসা আছে। বাবলুর বিরুদ্ধে ১ বছর আগে বুদবুদ থানায় ব্যবসার জন্যই মামলা চলছিল। সোমবারের দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ির রেষারেষির জেরে বেপরোয়া গাড়ি চালনার অভিযোগ আনতে চাইছে পুলিশ।
অন্যদিকে, পুলিশের রেষারেষি তত্ত্ব খারিজ করে সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ওই চালক রেষারেষি করে না। সুতন্দ্রাকে ইভটিজিং করার অভিযোগ এনেছেন তাঁর মা। সুতন্দ্রার মায়ের দাবি, ইভটিজিংই হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে কিনা সে প্রশ্নে তিনি বলেন, যিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ওরকম কোনও অভিযোগ হয়নি।