আমাদের ভারত, ১২ ফেব্রুয়ারি:
আজ মাঘী পূর্নিমার পুন্যতিথিতে হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভ পুণ্যস্নান করতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছিল। সেখানে আজ স্নান করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তিনি বলেন, বাংলার কুম্ভের পুনর্জাগরণ ঘটেছে।
৭০০ বছরের আগে হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভ হতো। ফের তা চালু হয়েছে। এটা বাংলা ও দেশের ঐতিহ্য। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, বাংলার কুম্ভ পুনর্জাগরিত হয়েছে। তিনি জানান, ৭০০ বছর এই কুম্ভ বন্ধ ছিল। মধ্যযুগীয় আক্রমণের কারণে এখানে কুম্ভ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রচুর পরিমাণে ধর্মান্তকরণ হয়। তারপর থেকে মানুষ ৭০০ বছর ভুলে ছিল এই কুম্ভকে।” কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আবার এই বাংলার কুম্ভে পুন্য স্নান শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ৯ তারিখে তিনি মহাকুম্ভে স্নান করেছিলেন। সেই মহাকুম্ভের জল তিনি নিয়ে এসেছিলেন। সেই জল তিনি বাংলার কুম্ভে মিশিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, এভাবেই যুগ যুগান্তর ধরে হাজার হাজার বছর ধরে ভারতবর্ষ এক থেকেছে। গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী সমস্ত নদীর মাধ্যমে ভারতবর্ষকে এক রাখার চেষ্টা হয়েছে, যে চেষ্টা আমাদের পুজোর মন্ত্রে প্রতিফলিত হয়। সেটার আবার জাগরণ ঘটেছে। কোটি কোটি লোক কুম্ভে গেছে। এখানেও কয়েক লক্ষ মানু স্নান করছে। এই পশ্চিমবঙ্গে আবার বাংলা সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটেছে। তাকে হিন্দুত্ব বলুন কিংবা অন্য শব্দ বলুন। তিনি আরো জানান, এই হিন্দুত্ব শব্দটা এক বাঙালির দেওয়া। চন্দ্র বোস নামে হুগলির এক ব্যক্তি তার রচনায় হিন্দুত্ব শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। পরে সাভারকর তাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় হিন্দুত্বের আবার জাগরণ ঘটছে।”
প্রয়াগরাজে মাঘী পূর্নিমায় কোটি কোটি পুণ্যার্থী স্নান করেছেন। গঙ্গাসাগরেও লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ স্নান করেছেন। এদিকে হুগলি ত্রিবেণী ঘাটেও মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে সেখানে পূণ্যার্থীদের ব্যাপক ভিড় হয়েছিল।