আমাদের ভারত, ১২ ফেব্রুয়ারি: ট্রেনের ১০ দফা দাবি নিয়ে এসইউসিআই (কম্যুনিস্ট) বুধবার একটি দাবিপত্র পেশ করল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে।
দাবিগুলো হল—
১। রেলের সময় সারণি মেনে সমস্ত ট্রেন চালাতে হবে।
২। আগাম ঘোষণা না করে, গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়া হঠাৎ করে কোন ট্রেন বাতিল করা চলবে না।
৩। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের প্রয়োজনীয় চরিত্র না পাল্টে কেবল এক্সপ্রেস ট্রেনের তকমা লাগিয়ে বর্ধিত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে।
৪। রেলের সার্বিক বেসরকারিকরণের যাবতীয় পদক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৫। যাত্রী সুবিধার্থে প্রতিটি স্টেশনে নিঃশুল্ক পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। বেলদা, বালিচক, পাঁশকুড়া প্রভৃতি রেলস্টেশনের কাছাকাছি জনবহুল এলাকার রেল গেট/ লেভেল ক্রসিংগুলির উপর দিয়ে অবিলম্বে ফ্লাই-ওভার (রোড ওভার ব্রিজ) বা রোড আন্ডার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
৭। বেলদা-দিঘা নতুন রেল লাইন স্থাপন করতে হবে।
৮। ঝাড়গ্রাম, হলদিয়া বা দিঘা থেকে খড়গপুর/ হাওড়ার সাথে সংযোগকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৯। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলির দু’দিকে বুকিং কাউন্টার এবং প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে লিফ্ট এবং/অথবা এস্কেলেটারের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০। লোকাল ট্রেনের ভেতরের ডিসপ্লে বোর্ডে এবং মাইকে সেই ট্রেনের বিভিন্ন অবস্থানের/ পরবর্তী যে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে তার সংবাদ ভেতরের যাত্রীদের কাছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পৌঁছে দেওয়ার যে ব্যবস্থা ছিল, যাত্রী সুবিধার্থে সমস্ত ট্রেনে তার পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে।
এই দাবিসমূহ নিয়ে আজ এসইউসিআই (কম্যুনিস্ট)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে পূর্বতন সাংসদ ডাঃ তরুণ মন্ডলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল এই স্মারকলপি দেয়। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন জৈমিনি বর্মন, গৌরীশঙ্কর দাস, কনিকা ধাড়া ও সুনীল জানা।
জেনারেল ম্যানেজার সময় সারণী মেনে ট্রেন না চালানোর পেছনে কতকগুলি বাস্তব সমস্যার দিক তুলে ধরেন। এগুলি সমাধানে তিনি যে সব পরিকল্পনা নিয়েছেন সেগুলি ব্যাখ্যা করে তার রূপায়ণে যাত্রী সাধারণ সহ সমস্ত মানুষের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি অন্যান্য দাবিগুলিও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন।