আমাদের ভারত, ৩ আগস্ট: বার বার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে বাকিবুর, আনিসুরদের মতো লোকের মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয় বা বাকি মন্ত্রীদের টাকা বাজারে খাটছিল। এটা জনগণের টাকা। তার হিসাব দিতেই হবে। নাহলে জেলে যেতে হবে। রেশন দুর্নীতি কান্ডে আনিসুর ও তার দাদার গ্রেপ্তারির ঘটনায় এমনটাই দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো দু’জন। দেগঙ্গার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান এবং তার দাদা রাইস মিলের মালিক আলিফ নুর। এই দু’জনকে ম্যারাথন জেরা করেছে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই দু’জনের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের, এমনই হদিশ পেয়েছে ইডি বলে সূত্রের খবর। নগদে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন দফায় প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কেন এই টাকা লেনদেন হয়েছিল? সেই প্রসঙ্গে জবাব এড়াচ্ছেন আনিসুর এবং আলিফ বলে খবর। অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, দেড় কোটি টাকার লেনদেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের সঙ্গে হয়েছিল। আনিসুর এবং আলিফের ৯০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই টাকার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ আছে কিনা জানতেই আনিসুর ও আলিফকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর দাবি, জ্যোতিপ্রিয় সহ একাধিক মন্ত্রীর টাকা এই বাকিবুর আনিসুরের মতো লোকদের মাধ্যমে বাজারে খাটছিল। এটা জনগনের টাকা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, “বাকিবুর রহমান সম্পর্কে তো আপনারা দেখেছেন, কী বিপুল সম্পত্তির মালিক। এবার এই আনিসুরের কত সম্পত্তি আছে আমাদের জানা নেই। আস্তে আস্তে সামনে আসবে।” তিনি দাবি করেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের টাকা এবং অন্যান্য বিভিন্ন মন্ত্রীদের টাকা এই সমস্ত বাকিবুর থেকে শুরু করে আনিসুরদের মতো লোকেদের মাধ্যমে মার্কেটে খাটতো, ব্যবসায় খাটতো। এই টাকা জনগণের। তাই জনগণের টাকার হিসেব দিতে হবে, হিসেব না দিলে জেলে যেতে হবে।”
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই টাকা এদের এমনি দেয়নি। এর পরিবর্তে এরা কোনো লাভ পেয়েছে। হতে পারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদের কোনো ভাবে টাকা পাইয়ে দিয়েছে। সেই টাকাই আবার পরে ফেরত নিয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয়র টাকা আসলে এদের মাধ্যমে বাজারে খাটছিল। এটা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। এই চোরেদের ছাড়া উচিত না, কারণ এরা জনগণের টাকা খেয়েছে। জনগণের রক্ত চুষে খেয়েছে। এদের জেল হেফাজত হওয়া উচিত। ভারতবর্ষের বিচার ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে বলছি, মানুষ চাইছে এদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”