আমাদের ভারত, ২১ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র আসলে প্রহসনে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসনের বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজ চলছে। পুলিশ মানুষকে রক্ষা করার বদলে হামলার ঘটনায় নীরব দর্শক হয়ে দেখছে। বুধবার বারুইপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়কদের উপর আক্রমণ ও দিনহাটায় বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-র গাড়ি তৃণমূল সমর্থিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা ভাঙ্গচুরের ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী তথা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের তৃণমূল শাসনের কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। শাসক দল এখন আর হুমকিতে থেমে নেই, বিরোধীদের উপর সরাসরি আক্রমণ হানছে তারা। বঙ্গ বিজেপি সেনাপতি লিখেছেন, বারুইপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়কদের উপর নিন্দনীয় এবং কাপুরুষোচিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। দিনহাটায় বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-র গাড়ি তৃণমূল-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা ভাঙ্গচুর করা হলো। এটাতে কি প্রমাণ হচ্ছে? বাংলায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের শুধু হুমকিই দেওয়া হচ্ছে না, এবার সরাসরি তাদের আক্রান্ত করা হচ্ছে।”
কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’ আসলে একটি প্রহসন মাত্র। তাঁর শাসনে হিংসা, ভয় দেখানো এবং বিরোধী কণ্ঠস্বর দমনের কাজ চলছে।
তাঁর অভিযোগ, পুলিশ জনগণকে রক্ষা করার পরিবর্তে তৃণমূলের ব্যক্তিগত ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতাদের উপর হামলা দেখতে ব্যস্ত। এটা কি আইনের শাসন, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী জঙ্গলরাজ?”
বিজেপি নেতা লিখেছেন, তৃণমূল স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলতে চাইছে হয় আত্মসমর্পণ করো, না হলে হিংসার শিকার হও। রাজনৈতিক হত্যা থেকে শুরু করে গণহামলা, বুথ দখল থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে ভয়ের রাজ্যে পরিণত করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে যে-ই কথা বলবে, তাকে নির্মম প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে।
কিন্তু এরপর সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, বাংলার মানুষ এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং ২০২৬-এ এই নৈরাজ্যের শাসনের যোগ্য জবাব দেবে। কোনও হিংসাই জনগণের কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না। বাংলা তৃণমূলের গুণ্ডারাজ থেকে মুক্ত হবেই।