আমাদের ভারত, ২৫ মার্চ: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সব দলের প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা হয়ে গেছে প্রায়। কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছেন সব দলের নেতা কর্মীরা। এরমধ্যে পরেছে বসন্ত উৎসব বা দোল উৎসব। ফলে প্রচারের মধ্যেই এই উৎসবের প্রাঙ্গণে আসা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে গেলেন প্রার্থীরা বালুরঘাটের বিভিন্ন জায়গায়, যেখানে যেখানে দোল উৎসব বড় আকারে পালন হয়েছে সেখানেই পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। খোল করতাল বাজিয়ে মানুষের মধ্যে মিশে যান সুকান্ত মজুমদার। আজ তার সঙ্গী ছিলেন এলাকার একাধিক বিধায়ক ও বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু।
রঙের উৎসবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুরে খোল করতাল বাজিয়ে রাস্তায় দোল উৎসবে মাতেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। এছাড়াও বালুরঘাট শহরের বালুরঘাট হাই স্কুল ময়দানে আয়োজিত বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র। ফলে এখানে নানা রঙে রাঙিয়ে মানুষ দোল উৎসব বা বসন্ত উৎসব পালন করে থাকে। রাজনীতি সমাজেরই একটা অঙ্গ, তাই আমরাও বিভিন্ন জায়গায় বসন্ত উৎসবে গিয়ে অংশগ্রহণ করছি। আমার সঙ্গে অনেকজন বিধায়ক রয়েছেন, আছেন বিজেপি নেত্রী অঞ্জনা বসু।
বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবার পরেই ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। বিশেষত দার্জিলিং- এ রাজু বিস্তা ও বসিরহাটে রেখা পাত্রকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে না চেয়ে পথে নেমেছেন দলের একাংশ কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেহেতু বিজেপির প্রার্থী হওয়ার একটি বিশেষ আগ্রহ বা উদ্দীপনা থাকে। আর প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর যাদের ইচ্ছে ছিল কিন্তু হতে পারেনি তাদের মধ্যে একটু ক্ষোভ বিক্ষোভ হয়। আমরা কথা বলছি। দল বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে চিন্তা করে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে এই বিষয়ে আমরা সবার সঙ্গে বসে কথা বলব। একই সঙ্গে তিনি বিরোধীদের দোল উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “মানুষের মধ্যে রঙ আনুন, বোমা, গুলি বারুদ এগুলো আনবেন না।”