Dilip Ghosh, BJP, campaign, “বর্ধমানের পিচ আমার, আমি ব্যাটসম্যান, প্রথম বলে ছক্কা মারব,” দোলের দিনই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়লেন বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী দিলীপ ঘোষ

আমাদের ভারত, ২৫ মার্চ: এলাকা বদল হলেও লড়াইয়ের মেজাজে কোনো ফাঁক নেই। নাম ঘোষণার পর একেবারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়লেন বিজেপি দলের একনিষ্ঠ কর্মী দিলীপ ঘোষ। সোমবার দোলের দিন শক্তিগড়ে পা রেখেই জানিয়ে দিলেন প্রথম বলেই তিনি ছক্কা হাঁকাবেন।

রবিবার রাতেই দুর্গাপুর- বর্ধমান কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা হতেই বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। বেশ কিছু জায়গায় উৎসবের মেজাজে নেচে ওঠেন পদ্মা শিবিরের কর্মীরা। সোমবার বেলা বারোটায় শক্তিগড়ের আমড়া এলাকায় পৌঁছোন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। দিলীপ ঘোষকে স্বাগত জানাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার এক ঝাঁক বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা হাজির হন। ফুলের মালা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপি নেতৃত্ব।

২০১৯ সালে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন সুরেন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। আর এর ফলে বর্ধমান- দুর্গাপুর আসন বিজেপি ঝুলিতে আসে। কিন্তু আলুওয়ালিয়াকে নিয়ে এই কেন্দ্রে সার্বিকভাবে মানুষ খুব খুশি ছিল না। কারণ ভোটের পর মানুষ তাকে পাননি। তবে দিলীপ ঘোষের কাছে দলের কর্মীদের প্রত্যাশা অন্য মাত্রায়। অনেকেই মনে করছেন দিলীপ ঘোষকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি মক্ষোম চাল দিয়েছে। কারণ আলুওয়ালিয়াকে ঘিরে যে খারাপ লাগা তৈরি হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে সেখানে দলের কর্মীদের উদ্দীপনায় নয়া জোয়ার এসেছে। আর সেখান থেকেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, তিনি নিশ্চিতভাবে জিতবেন।

তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বদল প্রসঙ্গে কেউ কেউ কথা বলেছেন যে দিলীপ ঘোষকে অপমান করা হলো। এই প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট জবাব, অপমান কি সম্মান জানি না। যার দাম আছে সেই লড়ে জিতে নেবে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তার প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, উনি যে ক্রিকেটার ছিলেন সেটা কজন মনে রেখেছে? এই প্রসঙ্গে ক্রিকেটের শব্দেই জবাব দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর কথায়, বর্ধমানের পিচ আমার। আমি ব্যাটসম্যান। প্রথম বলে ছক্কা আমিই মারব।

তিনি বলেন, বর্ধমানের মাঠঘাট সবই চেনা। এখানকার মানুষ আমায় ভালবাসে। বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা বিজেপির হাতের মুঠোয়।

শক্তিগড় থেকে বাইক মিছিল করে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে আসেন তিনি। সেখানে তাকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। সোমবার তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি ছিল। দলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছিল। এবার কি তার নাম বাদ পড়বে? তারপরেই তার কেন্দ্র বদল হওয়ার জল্পনার কথা ভাসে বাতাসে। কিন্তু তাতে তিনি কোনোভাবেই বিচলিত ছিলেন না। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দল যেখানে লড়তে বলবে সেখানেই লড়বেন তিনি। দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশ হয় বর্ধমান- দুর্গাপুরের প্রার্থী হিসেবে। আর তারপরই সোমবার থেকে দলের একনিষ্ঠ কর্মীর মতই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *