Sukanta, BJP, ভাঁওতা! “যেখানে দরকার পে-কমিশন ঘোষণা, দিচ্ছে ৪% ডিএ,” রাজ্য বাজেটের কড়া সমালোচনায় সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১২ ফেব্রুয়ারি: সামনেই ২৬- এর নির্বাচন। তাই তাকে সামনে রেখেই রাজ্যের বাজেট হয়েছে। সেই বাজেটকে ভাঁওতার বাজেট বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এই বাজেট আসলে মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি। তাঁর কথায়, পে কমিশন যেখানে দরকার, সেখানে কেবল ৪ শতাংশ
ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।

রাজ্য বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “কেন্দ্রের সঙ্গে এখনো কত তফাৎ। পে কমিশন ঘোষণার দরকার যেখানে, সেখানে ডিএ দিচ্ছে, তাও ৪ শতাংশ। “এরপরই তিনি আশ্বাস দেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে চার শতাংশের ভিক্ষা নয়, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই বাজেট বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি। বাজেট কেমন হয়, কেন্দ্রীয় বাজেটটা দেখুন।

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য এই বছর বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অর্থমন্ত্রী জানান, দু’ বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান- এর কাজ সম্পন্ন হবে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গত বারো বছরে পারেননি কেন?মিথ্যা কথা বলছে। ভাঁওতা দিচ্ছে।

গত জানুয়ারি মাসে আশা কর্মীদের উপহার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, রাজ্য সরকার তাদের জন্য যা করার তা করবে। ঘোষণা করেছিলেন, আশা কর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেটে আশা কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ৭০ হাজার আশা কর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, আশা ও আঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কিনতে ২০০ কোটি টাকা আসলে কেন্দ্রের টাকা, মুখ্যমন্ত্রীর টাকা নয়। প্রথমে আমরা মামলা করব ভাবছিলাম। কিন্তু ওরা এটা বাজেটে ঘোষণা করে মামলার হাত থেকে বাঁচলো। তাঁর কথায়, ভারতবর্ষের সব রাজ্যের আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা আগে থেকেই মোবাইল ব্যবহার করে। এটা এগিয়ে বাংলা না পিছিয়ে বাংলা বুঝুন।

রাজ্য বাজেটে শিল্পের কোনো দিশা নেই বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তিনি বলেন, বেকার ছেলেদের চাকরি পাওয়ার রাস্তা কোথায় এই বাজেটে? সরকারি চাকরি না পেলে প্রাইভেট জায়গায় যে কাজ করবে তার রাস্তা কোথায়? শিল্পই নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *