আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৬ আগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের ৭৭ বর্ষপূর্তিতে নানান অনুষ্ঠান চলছে দেশজুড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ‘হর ঘর তিরাঙ্গা’ কর্মসূচিতেও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবসের পরে রাস্তায়, আবর্জনার স্তূপে অনেক জায়গাতেই ছোট ছোট কাগজের তৈরি পতাকা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অযত্নে পড়ে থাকা সেই পতাকাগুলিকে উদ্ধার করে সযত্নে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন বাসন্তীর এক যুবক সুজাউদ্দিন লস্কর। গতবছর আরও দুই বন্ধুকে সাথে পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কাউকে সাথে না পেলেও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাননি তিনি।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত বাসন্তীর উত্তর ভাঙনখালি গ্রামের বাসিন্দা সুকান্ত কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তথা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সুজাউদ্দিন। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের পরদিনই বাসন্তী থেকে সাইকেলে চেপে এই কাজ শুরু করেছেন তিনি। বাসন্তী থেকে ক্যানিং, জীবনতলা, ঘটকপুকুর হয়ে সুজাউদ্দিন পৌঁছবেন নিউটাউনে। এই দীর্ঘ প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেলেই যাত্রা করবেন। আর এই যাত্রাপথে রাস্তার আনাচেকানাচে পড়ে থাকা জাতীয় পতাকাগুলিকে তুলে নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষকে পতাকার মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে সচেতনও করেন বছর বাইশের এই যুবক। পথচলতি অনেকে তাঁর সঙ্গে কাজে হাত লাগান।
এদিন তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন ক্যানিংয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস তাঁকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন এই উদ্যোগের জন্য। প্রশসংসা করেন ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রতীক সিং-ও।
পরেশবাবু বলেন, “ এই যুবকের উদ্যোগকে স্বাগত। আমাদের সকলেরই উচিৎ জাতীয় পতাকার প্রতি যত্নবান হওয়া। শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা তুললে হবে না। পতাকা উত্তলনের পাশাপাশি দেখতে হবে যাতে কোনো ভাবে সেটির অবমাননা না হয়।”
সুজাউদ্দিন বলেন, “আমি দেখেছি পতাকা উত্তলনের পর ছোট ছোট কাগজের পতাকা, প্লাস্টিকের পতাকা অনেক জায়গাতেই রাস্তায়, মাটিতে, আবর্জনার স্তূপে পড়ে থাকে। সাইকেলে করে যাওয়ার পথে সেগুলিকেই উদ্ধার করে প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতনও করছি।”