Student, Educational travel, শিক্ষামূলক ভ্রমণে শিক্ষার্থীরা দেখলেন ধান্যকুড়িয়া এবং চন্দ্রকেতুগড়

আমাদের ভারত, কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি: ঋশিতা রায়, অদিতি সিং, তমন্না পারভীনের মতো একঝাঁক চনমনে ছাত্রী। বইয়ের পাতায় পড়েছিলেন চন্দ্রকেতুগড়ের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের কথা। বুধবার স্বচক্ষে সেই জায়গায় গিয়ে ওঁরা যারপরনাই খুশি।

ওঁরা মানে, ২১ জন ছাত্রী, ন’জন অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং গ্রন্থাগারিক। বিভাগীয় প্রধান ডঃ উমা চক্রবর্তী, ডঃ বসুপূর্ণা মুখার্জি, ইংরাজির অধ্যাপিকা চন্দনা দত্ত প্রমুখ ছাত্রীদের সব দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন। ওঁদের এই দেখানোর দায়িত্বে ছিল ‘ভারতচর্চা ফাউন্ডেশন’ নামে ইতিহাসপ্রেমী একটি সংস্থা।

সংগঠনের পুরোধা গৌতম দে এই প্রতিবেদককে জানান, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আশপাশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, জানা বা অজানা প্রত্নতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলিকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তুলে ধরা, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া। সেই প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসাবেই আমাদের ব্যবস্থাপনায় কলকাতার শেঠ সুরজমল জালান গার্লস কলেজের একদল ছাত্রী, তাদের অধ্যাপক অধ্যাপিকাগণ এবং অন্যান্য কর্মীবৃন্দ শিক্ষামূলক ভ্রমণে ঘুরে গেলেন ধান্যকুড়িয়া এবং চন্দ্রকেতুগড় থেকে।

প্রথম সেমিস্টার থেকে শেষ সেমিস্টার সব স্তরের‌ই ছাত্রী ছিলো। প্রথমে চন্দ্রকেতুগড় বিষয়ে উপস্থাপনা, এর পরে ধান্যকুড়িয়া জমিদারবাড়ি সমূহ। সেখান থেকে চন্দ্রকেতুগড় ও খনা মিহিরের ঢিপি এবং সবশেষে চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা। সকাল দশটায় ছাত্র ছাত্রীরা পৌঁছয়, সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার পর তারা ফেরার পথে রওনা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *