আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৫ আগস্ট:
২৭ তারিখ আরজিকর কান্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তিন ছাত্র। এই অভিযানকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হয়েছে। ফলে এই অভিযানে রাজনৈতিক দলের নেতারা যাবেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই আন্দোলন অরাজনৈতিক কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, অরাজনৈতিক ভাবেই এই অভিযানে যাওয়া উচিত। রাজনৈতিক নেতারা দূরে থাকলেই ভালো। যদিও বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
নবান্নে অভিযান নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ছাত্রসমাজ অভিযানের ডাক দিয়েছে। নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম যদি পাই, নাগরিক হিসেবে ওরা প্রত্যেক বাড়ি থেকে একজনকে চেয়েছে। আমার অধিকার আছে আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, অরাজনৈতিকভাবে এই অভিযানে যাওয়া উচিত। রাজনৈতিক নেতারা দূরে থাকলেই ভালো হতো।
আরজিকর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন। এটি অরাজনৈতিক একটি কর্মসূচি বলে দাবি করা হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বলে বুধবারে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তারপর থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এর পেছনে কি বিজেপি রয়েছে? যদি না থাকে তাহলে কি দলগতভাবে বিজেপি নবান্ন অভিযানে কর্মসূচিতে যোগ দেবে?
এই কর্মসূচিতে চিকিৎসা ও আইনগত সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, মঙ্গলবার অরাজনৈতিক আন্দোলন হচ্ছে। নবান্ন ঘেরাও হচ্ছে। আমার মনে হয় সেটা অরাজনৈতিকভাবেই হওয়া উচিত। রাজনৈতিক নেতাদের দূরে থাকাই ভালো। তবে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এই কর্মসূচিতে সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত।
মৌওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির পড়ুয়া সায়ন লাহিড়ী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ। তাঁর হাতে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তর। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মানুষ চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায় নিয়ে পদ থেকে অব্যাহতি নিন।