পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ আগস্ট: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মৌলা পরমানন্দপুর সমবায় সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে পড়ল পোস্টার। সমবায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি কোনো বিরোধী দল, তবুও প্রার্থী খুঁজে পেল না শাসক দল তৃণমূল। ছয়টি আসনের নির্বাচনে ১১ জন মনোনয়নপত্র তুললেও শেষ দিন পর্যন্ত জমা পড়ল মাত্র দুইটি মনোনয়ন পত্র। আবারো সামনে আসলো তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
জানাযায়, এই সমবায় সমিতি দুর্নীতির কারণে পূর্বতন ম্যানেজার মধুসূদন নায়েকের বিরুদ্ধে ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ও প্রমাণিত হয়। মধুসূদন নায়েক দু’বছর জেলও খাটে। তারপর থেকেই সমবায় সমিতির বহু গ্রাহক- আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছে না। মুখ থুবড়ে পড়ে এই সমবায় সমিত। নিজেদের সঞ্চিত অর্থ সমবায় সমিতিতে জমা রেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। দীর্ঘদিন পর আবার সেই সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
জানাযায়, এলাকারই এক ব্যক্তি উপানন্দ ঘোষ (দীর্ঘদিন ধরে সমবায় সমিতির সাথে যুক্ত) এবারে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেয় আর এতেই বাঁধে গন্ডগোল। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, উপানন্দ ঘোষ দুর্নীতির সাথে যুক্ত, তবু অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মফু সরকার তাকে মনোনয়নপত্র জমা করিয়েছে। এই ঘটনা নিয়েই বাধে গন্ডগোল। পাল্টা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মফু সরকার, তিনি অঞ্চল তৃণমূলের যুব সভাপতি গৌতম মল্লিকের নামেই এই নির্বাচন ভন্ডুলের করার অভিযোগ তোলেন।
এ বিষয়ে উপানন্দ ঘোষের সাথে আমারা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তিনি এলাকাতেই নেই, তবে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছে, আর এতেই কিছু তৃণমূলের কর্মী ভয়ে এইসব করছে।
তবে যাই হোক, অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মফু সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বেশিরভাগ কর্মীদেরই রয়েছে ক্ষোভ।
তবে এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের।
আর সমবায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন।