আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ১৫ এপ্রিল: ফের ক্ষোভের মুখে বিদায়ী তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার বাতাসপুর গ্রামে। ক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। অভিযোগ জানাতে গিয়ে বিদায়ী সাংসদের নিরাপত্তারক্ষীদের রক্তচক্ষু দেখতে হয় গ্রামবাসীদের। আর এনিয়ে প্রশ্ন করতেই গাড়ি থেকে নেমে আঙুল উঁচিয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা খবর পরিবেশনের অভিযোগ তোলেন শতাব্দী।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই নির্বাচনী প্রচারে বেড়িয়েছে সব দলের প্রার্থীরা। কিন্তু প্রচারে বেরিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়কে। তিনবারের সাংসদকে শুনতে হচ্ছে রাস্তা- ঘাট, পানীয় জল, বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ। একের পর এক ক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারাচ্ছেন শতাব্দী রায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভে জর্জরিত তৃণমূল প্রার্থী সব দোষ চাপাচ্ছেন সাংবাদিকদের উপর। তাঁর কথায় সাংবাদিরাই মিথ্যা খবর পরিবেশন করছেন।
এদিন সকালে সাঁইথিয়া থানার বাতাসপুর গ্রামে যান শতাব্দী রায়। গ্রামবাসীরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। সংবাদ মাধ্যম সেই ছবি ক্যামেরা বন্দি করায় রেগে গাড়ি থেকে নেমে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন শতাব্দী রায়। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী। শুধু বলেন, “আপনারা মিথ্যা খবর পরিবেশন করছেন। কেউ ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখায়নি। আপনারা পরিকল্পিত খবর করে আমার বদনাম করার চেষ্টা করছে”।
তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, “আমরা যথেষ্ট উন্নয়ন করেছিল। যারা কাজ করে মানুষ তাদের কাছেই না পাওয়ার অভিযোগ করে। সেরকমই কয়েকজন অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। মাটির তলেই জলের সঙ্কট। ফলে তাঁর প্রভাব তো পড়বেই”।
বিজেপি প্রার্থী, প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর বলেন, “আমি যেখানেই প্রচারে যাচ্ছি সেখানেই অনুন্নয়নের অভিযোগ শুনতে হচ্ছে। বিশেষ করে পিছিয়া পড়া আদিবাসী, সংখ্যালঘু, তফশিলি এলাকায় অনুন্নয়নের ছাপ বেশি। ওই সমস্ত এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি নালা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। আসলে উনি চিত্রতারকা হওয়ায় সংসদে সময় দিতে পারছেন না। উন্নয়নের টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করেছেন। তাই আমরা বলছি, সারা বছর যিনি পাশে থাকতে পারবেন তাকেই নির্বাচিত করুন”।