আমাদের ভারত, ১৫ এপ্রিল: বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আবেদনে সাড়া দিয়ে রামনবমীতে হাওড়ায় মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন রাজ্য পুলিশের দ্বারা যদি মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয়, যদি তাদের পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকে তাহলে কেন্দ্রের বাহিনী চাইতে হবে রাজ্যকে।
আজ বিচারপতি বলেন, ২০০ লোকের শোভাযাত্রা যদি রাজ্য পুলিশ সামাল দিতে না পারে তাহলে কিছু বলার নেই। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড় সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাওড়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামনবমী শোভাযাত্রা নিয়ে রাজ্যের আপত্তিতে এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। যেহেতু রামনবমীর মিছিলে গতবার হামলা হয়, প্রধান বিচারপতি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। সেটাকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকার শোভাযাত্রার রুট বদলের আবেদন জানান।
তাতে বিচারপতির বক্তব্য, মাত্র ২০০ জন শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। রাজ্যের যে কোনে জায়গায় ২০০ জন মিছিল করলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। তিনি জানান, দরকার হলে রাজ্য মিছিল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাহিনী চাইতে পারবে কেন্দ্রের কাছে। শোভাযাত্রার ২৪ ঘন্টা আগে তা চাইতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। বাহিনীর চাওয়ার আবেদন নোডাল অফিসার, আইজি, সিআরপিএফ’কেও দিতে হবে।
তবে শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি লোক থাকলে তার দায় থাকবে সংগঠনের পাঁচজনের উপর। যারা এই মিছিল নিয়ন্ত্রণ করবে, তাদের নাম পুলিশকে জানিয়ে রাখতে হবে।
একই সঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ, একটি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে শোভা যাত্রায়। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত বছরের ঘটনায় যে যে জায়গায় সমস্যা হয়েছিল সেটা নিয়ে এনআইএ তদন্ত করছে। তাই রুট বদল দরকার। ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এত কম সংখ্যক লোক নিয়ন্ত্রণ করার মতো ফোর্স নেই রাজ্যের? সবাই নির্বাচনে গিয়েছে নাকি? তাহলে কেন্দ্রকে বলতে হবে ফোর্স দেওয়ার জন্য। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে বলা হয়, ২০০ জনকে নিয়ে করা মিছিল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় কেন? রাজ্য জানায়, সংখ্যা নয়, সমস্যাটা ফোর্স নিয়ে। তারপরেই আদালত নির্দেশ দেয় প্রয়োজন হলে রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবে মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে।