আশিস মণ্ডল, নিউ দিল্লি, ৯ জুন: “মমতা দ্বিচারিতা করছেন। মাতুয়া এলাকায় বলছেন নিঃশর্তে নাগরিকত্ব দিতে হবে। আবার অন্য জায়গায় বলছেন সিএএ মানি না”। ফের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার খবর পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যোগ দিয়ে ফিরে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন বনগাঁ কেন্দ্রের সংসদ প্রাক্তন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
বনগাঁ কেন্দ্র থেকে এবার দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। গতকালই মন্ত্রীত্ব পাওয়ার আঁচ পেয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। সেই মতো বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর, দাদা সুব্রত ঠাকুরকে নিয়ে পৌঁছে যান দিল্লির ১৮৭ সাউথ এভিনিউয়ের বাস ভবনে। সেখানে রবিবার সকাল থেকে রাজ্যের সংসদ, বিধায়ক, নেতা কর্মীদের ভিড় উপচে পড়েছে। বিকেলে নিজের বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে হারানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন। একাধিক প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ভোট কেটে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি একমাত্র আমার উন্নয়নের জন্য”। দ্বিতীয়বারের জন্য মন্ত্রিত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমার উপর আস্থা রেখেছে। তাই ফের মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন। কোন মন্ত্রিত্ব দেবে সেটা বড় ব্যাপার নয়, আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই গুরুত্ব দিয়ে পালন করব”।
সিএএ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “মাতুয়ারা ঘরবাড়ি, জমি ফেলে বাংলায় এসেছে তাদের অবস্থা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের থেকেও খারাপ। তাই ভারতে তাদের নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে আমি আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি আমার কথা রেখেছি। এরজন্য প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।”
তৃণমূলের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “এটা ওদের ঔদ্ধত্য। ওদের মুখ্যমন্ত্রী থেকে বুথস্তরের নেতাদের মেদ জমার বহিঃপ্রকাশ”। ছেলে দ্বিতীয়বারের জন্য মন্ত্রীত্ব পাওয়ায় খুশি বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তিনি বলেন, “ছেলের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেল। আমার বিশ্বাস ছেলে যোগ্যতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে রাজ্য এবং ভারতের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে”।