আমাদের ভারত, ৬ জুন: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত থাকায় পাকিস্তান মারাত্মক জলসঙ্কটে ভুগছে। আর সেই কারণে ভারতের কাছে বারবার আবেদন জানাচ্ছে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভাবার জন্য। কিন্তু সূত্রের খবর, ইসলামাবাদ পরপর চারবার চিঠি দিলেও সিন্ধু জলচুক্তি পুনর্বহাল নিয়ে কোনো সাড়া শব্দ করেনি নয়াদিল্লি।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানে জল ছাড়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তবে কোনো দিক থেকেই তেমন কোনো আশার বাণী শুনতে পায়নি ইসলামাবাদ। জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতকে চারবার চিঠি দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে তারা।
ভারত- পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে যে সিন্ধু জলচক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা থমকে যায় চলতি বছরের ২২ এপ্রিল। পেহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর। সেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিরীহ ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। যাদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন হিন্দু। সেই ঘটনার পরপরই ভারতের কূটনৈতিক কৌশলের পদক্ষেপ হিসেবে সিন্ধু জলযুক্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার আগে পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলী মুর্তাজা ভারতের জলশক্তি মন্ত্রকে একটি চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। এরপর একই অনুরোধ করে আরো তিনটি চিঠি পাঠানো হয় নয়া দিল্লিতে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের পাঠানো চারটি চিঠি ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক থেকে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতে ভারতের তরফে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি।
গত মাসে দেশের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিন্ধু জলচক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানকে। স্পষ্ট বলেছেন, রক্ত- জল একসঙ্গে বইতে পারে না। আজও সেই সুরই বজায় রেখেছে ভারত।