আমাদের ভারত, ৬ জুন: অপারেশন সিঁদুরের আজ ঠিক এক মাস। সেদিন অর্থাৎ শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায় এক সরকারি অনুষ্ঠান থেকে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানা নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পেহেলগাঁও কাণ্ডের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান এখানে শুধু হামলা চালায়নি, তারা মানবতাবাদ এবং কাশ্মীরি সংস্কৃতির উপর আঘাত হেনেছে। হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপর থেকে কাশ্মীরের উন্নয়নে যে বা যারা বাধা দেবে তাদের মোদীর মুখোমুখি হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কাশ্মীর নতুনরূপে সেজে উঠেছিল। এখানে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছিলেন। জঙ্গিরা পর্যটন ব্যবসাকে শেষ করার উদ্দেশ্য নিয়েই বেছে বেছে পর্যটকদের খুন করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এই বিভাজনের রাজনীতি করে দেশজুড়ে অশান্তি তৈরি করা। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে তারপরেও আমাদের প্রতিবেশী দেশ মানবতা বিরোধী।
কাশ্মীরের মানুষের বেঁচে থাকার রসদ পর্যটন ব্যবসা। এই অবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে এগিয়ে এসে ডাক দিয়ে মোদী বলেন, পাকিস্তানের চক্রান্ত ভেঙে দিতে রুখে দাঁড়ান। পাকিস্তান সহ গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা ছড়িয়ে দিন যে, আমরা কতটা ঐক্যবদ্ধ। অপারেশন সিঁদুর শুধু সেনাবাহিনীর একার নয়, গোটা দেশের, আমজনতার কৃতিত্ব।
আজ ৬ জুন। ঘটনাচক্রে আজকের দিনের এক মাস আগে পাকিস্তানের জঙ্গি ডেরায় অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই দিনই পাকিস্তানের জঙ্গিদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছিল। এরপর থেকে যখনই পাকিস্তান অপারেশন সিঁদুরের নাম শুনবে ওদের লজ্জা, পরাজয়ের কথা মনে পড়ে যাবে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কিংবা জঙ্গিরা কোনদিনই ভাবতেও পারেনি ভারত তাদের সীমানা ডিঙিয়ে গিয়ে মেরে আসবে। বছরের পর বছর ধরে যে সন্ত্রাসবাদের জাল তারা বিছিয়েছিল কয়েক মিনিটে তা ধুলোতে মিশে যাবে, এটা ভাবতে পারেনি জঙ্গির দল ও তাদের মদত দাতারা।