আমাদের ভারত, কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি: কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি ল’ কলেজে সরস্বতী পুজো ঘিরে উঠেছিল বিতর্ক। অভিযোগ, কলেজের সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ‘কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকের নজরদারিতে যোগেশ চন্দ্র কলেজে হবে সরস্বতী পুজো।
পড়ুয়ারা এ বিষয়ে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কলেজে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়া এবং ধর্ষণ-খুনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
আদালত নির্দেশ দিল, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ডে ও ল’ কলেজের সরস্বতী পুজো করতে হবে কলকাতা পুলিশের এক যুগ্ম কমিশনারের নজরদারিতে। সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনার কে হবেন তা ঠিক করবেন স্বয়ং কলকাতার পুলিশ। পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিশ কর্মী নিয়োগ করতে হবে। পুজোর ভিডিওগ্রাফি করতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে’।
এদিন হাইকোর্টে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, কলেজের ভেতরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে তারা অপারগ। এরপর হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, বর্তমানে কলেজের ভিতরে থাকা বিতর্কিত প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, দুটি কলেজের ছাত্ররা প্রতি বছর দুটি আলাদা জায়গায় পৃথক পৃথক দুটি পুজো করে। এবছর এমন একটি প্যান্ডেল বানানো হয়েছে যাতে ল’ কলেজের পড়ুয়ারা ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ। বহিরাগতরা পুজোয় বাধা দিচ্ছে এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই নিয়ে নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম ‘আনোয়ার শাহ’ হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পুজোর কোনো আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গেছে।’