পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর: সোমবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। এদিন তিনি প্রথমে কেশপুরের বিশ্বনাথপুর, ঝলকা, পিতম্বরচক গ্রামে যান। সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। বন্যা দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। এরপর যান দাসপুর- ১ ব্লকের নাড়াজল ও রাজনগর এলাকায়। বিকেলে যান ঘাটালে। ঘাটালের অজবনগর, ইড়পালা, সুলতানপুর, মনশুকা এইসব এলাকার বন্যা পরিস্থিতি সবথেকে ভয়াবহ। তিনি বন্যা কবলিত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। সন্ধেয় মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রাণহানী ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেসব খোঁজ খবর নেন। পর্যাপ্ত ওষুধ
(আন্টি ভেনাম সহ), পানীয় জল, শিশু খাবার মজুত আছে কিনা তার খোঁজ নেন।
দেব জানান, ঘাটালবাসীকে বন্যা থেকে মুক্ত করে আনা তাঁর চ্যালেঞ্জ। এটা তিনি করবেনই। রাজ্য সরকার সর্বোতভাবে সহযোগিতা করছে। ডিসেম্বর থেকে ঘাটাল মাষ্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। সোমবার সকালেই এনিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও মুখ্য বাস্তুকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। জমি চিহ্নিতকরণ হয়ে গেছে। জমা জল বের করার জন্য দুটি বড় পাম্পিং স্টেশন করা হবে। দ্রুত জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। কয়েকটি পর্যায়ে কাজ হবে। ডিসেম্বর মাসেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
দেব জানান, দেশজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এটা চিন্তার বিষয়। গত তিনদিন ধরে অতি ভারীবৃষ্টি এর উপর ডিভিসি জলাধার থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে ঘাটাল মহকুমার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তবে সব ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। ৩টি এনডিআরএফ টিম রাখা হয়েছে। এদিন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
দেব জানান, যদিও তিনি বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছেন তবুও আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে তাঁর আবেদন, বন্যার সময় বিভিন্ন কারণে মানুষকে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। তাঁরা যাতে চিকিৎসা পান। তিনি জানান, তিলোত্তমা ন্যায় বিচার পাবেই। জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরুন।