Sand trafficking, Sainthia, নদীর বুকে নৌকা বসিয়ে দেদার বালি পাচার সাঁইথিয়ার ময়ূরাক্ষী থেকে, নির্বিকার প্রশাসন

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, সিউড়ি, ৩০ মার্চ: বৈধর আড়ালে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষী নদীতে। সব জেনেও নির্বিকার প্রশাসন। শুধু বালি উত্তোলনই নয়, ধ্বংস করা হচ্ছে জঙ্গল। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে জনৈক গ্রামবাসী।

বালি চুরি নিয়ে মাসখানেক আগে জেলা শাসক বিধান রায়কে ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুরি বন্ধে দেওয়া হয়েছিল সাতদিনের সময়সীমা। এরপরেই রাতের অন্ধকারে অভিযান চালান জেলা শাসক বিধান রায়। আটক করা হয় একাধিক ডাম্পার, ট্রাক্টর। বাজেয়াপ্ত করা হয় নদী থেকে বালি তোলার মেশিন, নৌকা। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। সাঁইথিয়ার ময়ূরাক্ষী নদীর কুলতোর গ্রামের কাছে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। নদীর মাঝে নৌকাতে মেশিন বসিয়ে অবাধে বালি তোলার কাজ চলছে। প্রতিদিন ৭০-৮০ ডাম্পার বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

গ্রামবাসীরা জানান, নদীর বুকে দেড়শো ফুট গভীর থেকে বালি তোলা হচ্ছে। ফলে নদীর বুকে তৈরি হচ্ছে গর্ত। বর্ষায় ওই সব গর্তে তলিয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। অবিলম্বে অবৈধ বালি তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আমোদপুরের বাসিন্দা অরিজিত সেন ওরফে বাপ্পা বৈধ ঘাটের আড়ালে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন। বিশেষ করে এলাকার কালিমাতা এবং জল ট্যাঙ্কি ঘাটে দেদার বালি তোলা হচ্ছে মেশিনের সাহায্যে। শুধু বালি উত্তোলনই নয়, কাটা হচ্ছে বাগানের আম ও লিচু গাছ। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ তোরাব আলী এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।

বাপ্পা সেন বলেন, “আমি দিন কয়েক হলো বালির ঘাট চালানোর অনুমতি পেয়েছি। নদীর বালিগুলো এক জায়গায় ছিল না। তাই মেশিন দিয়ে এক জায়গায় মজুত করে বালি তুলছি। আর যারা গাছ কাটার কথা বলছেন তারা ঠিক বলছেন না।”

এবিষয়ে ফোন করা হলে জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *