Kolkata, শতবর্ষে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক বীরেন্দ্র স্মরণ

পারুল খামারিয়া, আমাদের, কলকাতা, ভারত, ২৫ মার্চ: বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য (১৪ অক্টোবর ১৯২৪ – ৬ আগস্ট ১৯৯৭) একজন ভারতীয় লেখক ছিলেন। তিনি আধুনিক অসমীয়া সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তিনিই প্রথম অসমীয়া লেখক যিনি জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছিলেন, যা ১৯৭৯ সালে তাঁর মৃত্যুঞ্জয় (অমর) উপন্যাসের জন্য তাঁকে প্রদান করা হয়েছিল।

গত ২৩ মার্চ, সন্ধ্যায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রথীন্দ্রমঞ্চে’ উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হলো। আয়োজক ‘জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন ট্রাস্ট’। এটি ছিল বর্ষব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য-সংস্কৃতি উৎসব ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয় অধ্যায়। বিষয় ছিলো- জ্ঞানপীঠ পুরষ্কারপ্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যের জন্মশতবর্ষ স্মরণ এবং বাংলা ও অসমীয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অধ্যাপিকা ড: মনাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড: কল্যাণ চক্রবর্তী। স্বাগত ভাষণ দেন জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শক্তিময় দাশ।

অনুষ্ঠানের শুরু হয় ড: রুবেল পালের সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় মঙ্গলাচরণ দিয়ে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘সুরের ছোঁয়া’র সমবেত উদ্বোধনী সঙ্গীত সকলকে মুগ্ধ করে। বিশেষ আকর্ষণ ছিলো শিল্পী শীর্ষ আচার্যর কবি বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যর লাইভ প্রতিকৃতি অঙ্কন। স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি এবং গ্রুপ আবৃত্তিতে অংশ নেন যথাক্রমে কবি জয়দেব চক্রবর্তী, ড: জারিনা জারিন, তাপস মন্ত্রী, অসীমা ভড় এবং ‘খোলা জানালা’- পরিচালনায় ড: দীপা দাস, ‘অমিত্রাক্ষর’- পরিচালনায় দীপান্বিতা বসু সরকার, ‘সেঁজুতি’- পরিচালনায় ইন্দ্রাণী ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাচিক সংসদ এবং বাক, পরিচালনায় – সুস্মিতা ধর। সঙ্গীতে, নৃত্যে ও গ্রুপ নৃত্যে অংশ নেন যথাক্রমে মৌসুমী পাল, সোমা সান্যাল চক্রবর্তী, ঋতুরাজ গোস্বামী, সঙ্ঘমিত্রা মিশ্র, প্রভাতী পাল, অস্মিতা সেন, মল্লিকা বিশ্বাস, এবং ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর উপস্থাপনায় প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য। বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি’র শিল্পীবৃন্দ। সবশেষে, দিদি নম্বর-১ খ্যাত এবং দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা রীনা রায়ের পরিচালনায় ‘ধানসিঁড়ি ভারত’-এর বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান।

শুরু থেকেই দর্শকাসন কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো। শ্রোতারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুগ্ধ হয়ে শোনেন। সফল মঞ্চ পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন মিলন খামারিয়া, শ্রীতপা চক্রবর্তী ঠাকুর এবং সুনন্দা হালদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *