Threat Culture, Panihati, পানিহাটি পৌরসভায় নতুন চালু হওয়া থ্রেট কালচারে বিস্মিত পৌর প্রতিনিধিরা

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৫ মার্চ: পানিহাটি পৌর সভার নতুন পৌর প্রধান সোমনাথ দে নির্বাচিত হওয়া পর থেকেই পানিহাটি পৌরসভার পৌর প্রতিনিধিরা থ্রেট কলের জেরে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।

প্রথমে পানিহাটি পুরসভার ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের মুখপাত্র সম্রাট চক্রবর্তীকে ভিন্ন দেশ থেকে ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তীকে শুধু একা নয়, একটি নম্বর থেকে ফোন করে তার পরিবার সমেত তাকে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও তার ছেলে কাউন্সিলর তীর্থঙ্কর ঘোষকেও প্রাণে মেরে ফেলে ব্রিজের নিচে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর রবিবার রাত থেকে আবার পানিহাটি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তী ও সোমবার ভোর থেকে কাউন্সিলর তাপস দে’কেও একই নম্বর থেকে হুমকি ফোন করে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তবে ঘটনার পর সম্রাট চক্রবর্তী ও তাপস দে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত খড়দা থানায় বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এই ঘটনায় বড় প্রশ্ন উঠে আসছে, কেন কাউন্সিলরদের বারবার প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, তাপস দে’কে রং দে বসন্তী ধাবার সামনে ডাকা হয়েছে। অপর দিকে এলাকায় নেই উপ পৌর প্রধান সুভাষ চক্রবর্তী। তিনিও ফোনের মাধ্যমে হুমকি ফোনের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে যাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের সকলের বক্তব্য, তারা কেউ আতঙ্কিত নন। এদিন কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, আমরা এ সমস্ত হুমকি ফোনে ভয় পাই না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। আগামীতে নির্বাচন আছে, সেই লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো।’

অপর দিকে কাউন্সিলর তাপস দে বলেন, “আমি ঘুমিয়েছিলাম, সেই সময় ৫ থেকে ৬ বার ফোন আসে। তারপর ফোনটি ধরলে আমাকে সোদপুরের একটি ধাবার সামনে আসতে বলা হয়। কিন্তু অবাক বিষয়, সম্রাট চক্রবর্তী ও আমাকে এক নম্বর থেকেই ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু এমন থ্রেট কালচার- এর আগে এখানে ছিল না। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কারণ রাজনৈতিক কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না। কোনো বিরধী দলের সঙ্গে আমাদের কারোর তেমন কোনো সমস্যা নেই।”

অপর দিকে নব নির্বাচিত পৌর প্রধান এদিন নিজের পদের শপথ নিয়ে এই বিষয়টি সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, এমন থ্রেট দেওয়ার ঘটনা এর আগে পানিহাটিতে হয়নি। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু একই সঙ্গে কাউন্সিলরদের হুমকি ফোন করার পিছনে কী রহস্য রয়েছে সেটা নিয়ে চলছে চর্চা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *