Hindu হিন্দুদের ‘আত্মরক্ষার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার’ ডাক ধর্মীয় সংগঠনের

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২০ মে: হিন্দুদের ‘আত্মরক্ষার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বাণ জানানো হল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও শ্রীশ্রী প্রণব মঠের তরফে।

সোমবার এক্স হ্যান্ডলে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও শ্রীশ্রী প্রণব মঠের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের নামে লেখা হয়েছে, “বাঙ্গালী হিন্দুর সামনে আজ একমাত্র পন্থা — বীরবিক্রমে যাবতীয় অন্যায় অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিবিধান এবং আত্মরক্ষার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া।”

রবিবার তাঁর নামে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছিল, “অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ ও প্রতিকারের জন্য স্থিরসঙ্কল্প যে, দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকিতেও হিন্দুর ধর্ম-মান-ইজ্জত, স্বার্থ ও অধিকারে কাহাকেও হস্তক্ষেপ করিতে দিবে না— এইরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যার, সে-ই হইবে প্রকৃত রক্ষী।”

শুধু ভারত সেবাশ্রম সংঘ নয়, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীও রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন। এছাড়া কার্তিক মহারাজের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়ে আইনি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মহারাজ প্রসঙ্গে সুর কিছুটা নরম করতে বাধ্য হল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, ‘দেশে প্রত্যেকেরই আইনি পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো আইনি চিঠি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেও সুর কিছুটা নরম করতে বাধ্য হল তৃণমূল।

তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতি আস্থা রয়েছে দলের। তবে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মতো সামাজিক সংগঠনগুলিকে বিজেপি রাজনীতি করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘ভারতের যে কোনও নাগরিক যে কোনও বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকনের মতো সংস্থাগুলির প্রতি আমাদের আস্থা, বিশ্বাস এবং সমর্থন রয়েছে।”

শান্তনু সেন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই সংগঠনগুলিকে বরাবর সাহায্য করে এসেছেন। পাশে থেকেছেন। আগামী দিনেও থাকবেন। কিন্তু বিজেপি যে ভাবে এই সামাজিক সংগঠনগুলির রাজনীতিকরণ করে তাদের রাজনীতি করতে বাধ্য করেছে, আমাদের আসল প্রতিবাদ তার বিরুদ্ধে। অন্য কারোর প্রতি নয়।’’

তাঁর সম্পর্কে করা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করে কার্তিক মহারাজও বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আমাকে খুব বেদনাহত করেছে। এটা ব্যক্তি হিসাবে আমার অপমান নয়, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দীর্ঘ দিনের সেবাব্রতী পরম্পরার অপমান।’’ খানিকটা অভিমানের সুরে তাঁর সংযোজন, ‘‘নিজের শ্রাদ্ধ করে সন্ন্যাস নিয়েছি, মুখ্যমন্ত্রী আর কী করবেন!’’ এর পর সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠালেন মহারাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *