মানসিক রোগীকে নিয়ে বিড়ম্বনায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

আমাদের ভারত, সিউড়ি, ১৬ জানুয়ারি: দেড় বছর পর পরিবারকে ফিরে পেলেন এক ব্যক্তি। জামাই এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে রামপুরহাট হাসপাতালের বেডে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি।
পলাশ পোড়েল। বাড়ি হাওড়া জেলার আমতা থানার ছোটামোহারা গ্রামে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে তিনি দিল্লিতে অটো চালাতেন। ছেলে রাকেশ পোড়েল দিল্লির একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। বছর দেড়েক আগে তিনি দিল্লি থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে কয়েক দিন থাকার পর কেরালা যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে যান। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরে পরিবার খবর পায় দিল্লিতে অটো বিক্রি করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন খোঁজ না পেয়ে প্রায় আসা ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। দিন দশেক আগে তারাপীঠ থেকে এক সাধু তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগী মানসিক বিকারগ্রস্থ হওয়ায় অন্যান্য রোগীদের উপর অত্যাচার করছিল। বাধ্য হয়ে তাকে সার্জিকাল বিভাগে ভরে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ছেলে রাকেশ বলেন, “সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। এরপরেই সোমবার সন্ধ্যায় শ্বশুরকে নিতে রামপুরহাট হাসপাতালে আসেন জামাই দীপঙ্কর খাঁ। কিন্তু জামাইকে চিনতে না পাড়ায় তাদের সঙ্গে যেতে চাননি পলাশ।

দীপঙ্কর বলেন, “বছরখানেক আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। তার আগেই শ্বশুর বাড়ি ছেড়েছিলেন। ফলে তিনি আমাকে দেখেননি। তবে আমি মোবাইলে মামা শ্বশুরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছি। দেখি কি করা যায়”।

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এম এস ভি পি সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “ওই রোগীকে পরিবারের হাতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আইনি বিষয় রয়েছে। ওদের দিয়ে থানায় একটি আবেদন করা হবে। তারপর তাদের হাতে দেওয়া যাবে কিনা সেটা থানা বিবেচনা করবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *