আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২০ জানুয়ারি: কুমারগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ৫ দিন পরেও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত। ঘুমিয়ে পুলিশ। আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারকে বাড়ি গিয়ে সমঝোতার চাপ স্থানীয় নেতৃত্বদের। আর্থিক ভাবে দুর্বল থাকায় পরিবারের লোকজনদেরও গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ অভিযোগ পরিবারের লোকেদের। ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে অভিযুক্তর ফাঁসির সাজার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীর পরিবার। পুলিশের এহেন ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছে বাসিন্দারাও।
১৫ জানুয়ারি কুমারগঞ্জ ব্লকের উত্তর রসুলপুরের দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দিনমজুর পরিবারের মেয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে এমন আচরণে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দা সহ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পরদিন কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু তারপর ৫ দিন অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ অভিযুক্ত সোনামন দাসকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা উল্টে ঘটনা নিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারকে এড়িয়ে চলেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনার সমঝোতা করতে মাঠে নেমে পড়েছে স্থানীয় কিছু নেতৃত্বরা। আর যাকে ঘিরে প্রায় প্রতি মুহুর্তেই ওই ছাত্রীর পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করছে নেতৃত্বরা বলেও অভিযোগ। যা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবারে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আক্রান্ত ছাত্রীর মা ও বাবা জানিয়েছেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। তাদের মেয়ের সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার একমাত্র শাস্তি অভিযুক্তের ফাঁসি। কিন্তু অভিযোগের পাঁচ দিন পরেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা বার বার এব্যাপারে পুলিশের কাছে দাবি জানালেও তাদের কথার কোনও কর্নপাত করছে না পুলিশ। উল্টে স্থানীয় কিছু নেতৃত্বরা তাদের সমঝোতা করার দাবি জানাচ্ছে।
কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।