Satabdi, Suri, শতাব্দীর বিরুদ্ধে পোস্টার এবার সিউড়িতে

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, সিউড়ি, ১১ এপ্রিল: এবার সাংসদ শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে রাস্তায় হাঁটল বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। সিউড়িতে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে হাঁটা মিছিলে এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা যায়। পোস্টারে শতাব্দীর ছবি লালকালি দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে। তবে এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা।

সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, অসুস্থতার কারণে স্যালাইন চলছিল। তাই সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এনিয়ে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও পড়েছে পোস্টার তো কোথাও স্লোগান তুলেছেন ‘শতাব্দীকে মানছি না মানব না’। রামপুরহাটে পড়েছে পোস্টার। তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতেই হাতে পোস্টার নিয়ে উঠছে স্লোগান।

৯ এপ্রিল মুরারইয়ের বিধায়ক মোশারফ হোসেন, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষদের উপস্থিতিতেই স্লোগান ওঠে ‘শতাব্দীকে মানছি না মানব না’। মিছিল শেষে মৌলবি তাসির শেখ বলেছিলেন, “সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। কিন্তু তাঁরা সকলেই মুসলিম সাংসদ নন। হিন্দু সাংসদরাও ভোট দিয়েছেন ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে। যে আমাদের সাথ দেয়নি তাদের আমরা সেকুলার বলে মানব না। সাংসদ (শতাব্দী রায়) কেন যাননি দল জিজ্ঞেস করবে। মুসলমান জিজ্ঞেস করবে, সমাজ জিজ্ঞেস করবে কেন আপনি ভোটাভুটিতে গেলেন না। আমরা জিজ্ঞেস করতে যাব না। আমরা নিজেদের জমি রক্ষা করতে এসেছি”।

রামপুরহাটে শতাব্দীর পোস্টারে লালকালী দিয়ে কেটে প্রশ্ন করা হয়েছে ‘এই দ্বিচারিতা কেন’? সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিলে ভোট দানে অনুপস্থিত থেকে আমাদের মাননীয়া সাংসদ কাদের উপকার করলেন’?
এবার সিউড়িতে ওয়াকফ মিছিলে হাতে হাতে মিলল শতাব্দীর লালাকালিতে কাটা পোস্টার। শুক্রবার সিউড়ি ইদ্গাহা থেকে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন তৃণমূল নেতা কাজি ফৈজুদ্দিন। তিনি বলেন, “মিছিলে কারা শতাব্দীর পোস্টার নিয়ে হাঁটল সেটা আমরা জানি না। কিছু চ্যাংড়া ছেলে এসব করতে পারে। তারা আমাদের কেউ নয়। আমাদের দাবি ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল করতে হবে”।

মুসলিম সংগঠনের নেতা মুফতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই আইন মানছি না। তাই আমরা মিছিল সংগঠিত করেছি। জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলাম”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *