আমাদের ভারত, ১১ এপ্রিল: ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা। প্রয়োজন হলে প্রতিটি শহরে ৮ থেকে ১০ জন যুবককে আত্ম বলিদান দেওয়ার ডাক দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা তথা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর কবীর খান।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে। যেখানে কবীর খান নামে কংগ্রেস নেতা দেশের মুসলিম যুবকদের কাছে আবেদন জানান, সকলকে রাস্তায় নামার জন্য। তাঁর আবেদন রাস্তায় নেমে সমস্ত সরকারি সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আত্ম বলিদান দিক যুবসমাজ। তবে আইনের প্রত্যাহার প্রয়োজন। কবীর খানের দাবি, রাস্তায় নেমে বাসে- ট্রেনে আগুন জ্বালান। অবশ্যই কিছু মানুষকে আত্ম বলিদান দিতে হবে। প্রতিটি শহরে বলিদানের যে সংখ্যা যেন ৮ থেকে ১০ জনের কম না হয়। এই আইন প্রত্যাহারে পোস্টার হাতে আন্দোলন বা মামলায় কিছু হবে না। যদি কিছু হয় তবে তা ধ্বংসের মাধ্যমেই আসবে। গত ৮ এপ্রিল ভাইরাল হওয়া দুই মিনিটের এই ভিডিও ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের তরফে কবীর খানের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত কবীরের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, আজাদ নগরের বাসিন্দা এবং দাবানগরে শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন এই ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, তাঁর এই ভিডিও বার্তা ব্যাপকভাবে উস্কানিমূলক এবং আইন শৃঙ্খলার জন্য বিপদজনক। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। তবে শুধু কবীর নয়, হিংসার ভিডিও বার্তা প্রচারে আরো একজন জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
৫ এপ্রিল মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ বিল। বিজেপির দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে কোটি কোটি প্রান্তিক মুসলিম সমাজ উপকৃত হবে। এতদিন ধরে গুটি কয়েক প্রভাবশালীর হাতে কুক্ষিগত ওয়াকফের সম্পতি মুক্ত হবে এবং সাধারণ মুসলিমরা উপকার পাবেন। যদিও বিরোধীদের মতে এই বিল পুরোপুরি অসংবিধানিক। তাদের দাবি, এটা আসলে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ। ওয়াকফ বোর্ডে কেন অমুসলিম সদস্য রাখা হবে তা নিয়েও দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় অংশ সরব। ইতিমধ্যে আইনটিকে আটকাতে শীর্ষ আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে।