আমাদের ভারত, ২৬ সেপ্টেম্বর: কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে আবারও সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী ২ মাস ধর্মতলার কাছে কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত ধরনের জমায়েত, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের এই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার তো আগেই কেড়ে নিয়েছে এই সরকার, এবার প্রতিবাদের অধিকারও কেড়ে নিতে চাইছে। এই প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে চিন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আগামী ২ মাস ধরে ধর্মতলা সংলগ্ন কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত জমায়েত এবং মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কলকাতা পুলিশ। অন্যায় বিরোধী সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে এত ভয় কেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার? মাননীয়া ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে আগেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বারবার বাধা দানের অপচেষ্টা। কিসের এত ভয় নব নিযুক্ত অপদার্থ পুলিশ কমিশনারের?
আজ সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, একের পর এক আন্দোলন হচ্ছে বলে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তার পুলিশকে নিয়ে নতুন কমিশনারকে দিয়ে সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আন্দোলন করা যাবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন আমরা কি চিনে বাস করছি? নাকি উত্তর কোরিয়ায়? পশ্চিমবঙ্গ তো উত্তর কোরিয়া থেকেও খারাপ হয়ে গেল। আমাদের কি গণতান্ত্রিক অধিকার নেই? কেউ আন্দোলন করলে তাকে বাধা দেওয়ার অধিকার সরকারকে কে দিয়েছে?” তিনি মনে করিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে বাধা দেওয়ার অধিকার কারোর নেই। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলন আটকাতে তৃণমূল সরকারের তরফে এই ধরনের কাজ করা হয়েছে।
আরজিকর মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে মানুষ। জেলা সহ কলকাতা শহরে বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত। শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র এই ধর্মতলা চত্বরে সবথেকে বেশি মিটিং মিছিল জমায়েত হয়। এই জায়গাটিকে সব রাজনৈতিক দল, যে কোনো সংগঠন বেছে নেয় সভা বা প্রতিবাদ সভা করার জন্য। সেই কারণেই ধর্মতলাতে আগামী ২ মাস মিটিং মিছিল জমায়েত ‘না’ করে দিয়েছে পুলিশ বলে মনে করছেন অনেকে। কলকাতা পুলিশের তরফে জারি করা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম এবং জয়েন্ট ডক্টরর্স ফোরাম।