সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ সেপ্টেম্বর: ডিভিসির ছাড়া জলে এবং নিম্নচাপ জনিত ব্যাপক বৃষ্টির জেরে রাজ্যের অন্যান্য এলাকার সাথে সাথে বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া, বড়জোড়া ও সোনামুখী ব্লকের দামোদর সংলগ্ন মানাচরগুলিও প্লাবিত হয়। সেই জল সম্পূর্ণ নামতে না নামতে ফের বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই কারণে আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।
কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী বন্যা কবলিত বড়জোড়ার সীতারামপুর মানা পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি সীতারামপুর মানায় গিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। ৫টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে, প্রয়োজনে দুর্গতদের সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই ত্রাণ শিবিরগুলিও খতিয়ে দেখেন বিধায়ক।
ডিভিসি ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যে চাপানউতোর চলছে তাতে ডিভিসি বারবার জানিয়েছে, রাজ্যকে না জানিয়ে এক বালতি জলও ছাড়ে না ডিভিসি। এছাড়াও দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেশন কমিটিতে রাজ্যের দুই প্রতিনিধির উপস্হিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে জল ছাড়া হয় এবং ন্যূনতম ৬ ঘন্টা আগে রাজ্যকে জানানো হয়। এরপরও বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, ডিভিসি না বলে জল ছাড়ার ফলেই আমার জেলার একটা অংশ যেমন প্লাবিত হয়েছে তেমনি নিম্ন দামোদর অববাহিকার জেলাগুলিতেও বন্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিম্নচাপের জলে তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি। পাঞ্চেৎ ও মাইথন থেকে ডিভিসি ইচ্ছাকৃত ভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ভাসিয়েছে। যাতে বাংলার দুর্নাম হয় সেই চেষ্টা করছে ডিভিসি। পাশাপাশি তিনি এদিন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এলাকার মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, কিন্তু তার ভোটাররা বন্যার জলে ভাসছেন। গৃহহারা হয়েছেন। আর তার (সৌমিত্রর) দেখা নেই। শুনছি তিনি এখন বিদেশ ভ্রমণ করছেন। কিন্তু অসহায় মানুষ গুলোর কাছে সেই দিদিই আছেন।