Police, Jalpaiguri, জলপাইগুড়িতে পুলিশের বেধড়ক মারে মৃত্যু যুবকের, অভিযোগ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক বির্তক

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২১ জানুয়ারি: সুপারি চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, ক্ষিপ্ত জনতার থেকে রবিবার দুই যুবককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বুধবার সকালে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে বির্তক ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের বেধড়ক মারে মৃত্যু হয় যুবকের। পুলিশের দাবি, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। মৃত যুবকের নাম রাজা রায় (২৫), শহরের ডাঙা পাড়ার বাসিন্দা। মৃতার পরিবার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

১৯ জানুয়ারি সুপারি চুরির অভিযোগে দশদরগা এলাকা থেকে রাজা রায় ও তাঁর সঙ্গী পান্ডা পাড়ার বাসিন্দা বিট্টু সরকারকে পুলিশ উদ্ধার করে। অভিযোগ, এলাকাবাসীরা দুই যুবককে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেছিল। এরপর থানায় তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারকে ধৃতদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বুধবার সকালে খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়, রাজার পরিবার, তখনই মৃত্যুর খবর জানতে পারে তারা। এরই মধ্যে রাজার সঙ্গী বিট্টু হাসপাতালের শয্যার শুয়ে বক্তব্য রাখেন, তাদের দু’জনকে পুলিশ মারধর করে। ব্রাউন সুগার জোর করে খাইয়ে টোটো করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল। চাপ দেওয়া হয় এই ঘটনা যেন পথ দুর্ঘটনা বলে জানানো হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের বিরুদ্ধে বির্তক ছড়িয়েছে।

মৃতার স্ত্রী ডাঙা রায় বলেন, “আমার স্বামীর সঙ্গে একবার থানায় দেখা করেছি তখন সুস্থ ছিল। পরে পুলিশ মারধর করে, এই কারণে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার বিচার চাই।”

মৃতের মা মৌসুমী রায় বলেন, “আমার ছেলেকে মারধর করেছে পুলিশ। এই কারণে মৃত্যু হয়েছে।”

ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, “পুলিশ ওই যুবককে মারধর করেছে। ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পরিবারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশের এই ধরণের কাজের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

যদিও জেলা পুলিশের দাবি, ওই যুবককে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *