আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট: আর জি কর কান্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। দ্রুত বিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের নেমেছে আম জনতা। প্রায় প্রতিদিন একের পর এক মিছিলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে রাজ্যের শহরগুলি। এর মধ্যে আরও এক অজ্ঞাত মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে আনন্দপুরে। আর তাতেই সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সুস্পষ্ট দাবি, দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “দিদির নির্মিত সেফটি সিটি কলকাতাতে আরো এক নির্ভয়ার মর্মান্তিক পরিণতি। শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন এতটাই বেশি যে নির্যাতিতার পরিচয় সনাক্তকরণও সম্ভব হচ্ছে না। পথ চলতি মানুষের নজরে আসার পর বাইপাসের ধারে আনন্দপুর এলাকায় একটি ঝোঁপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতার নিথর দেহ।”
সুকান্ত এরপরই প্রশ্ন তুলেছেন, এ কোন রাজ্য মাননীয়া? মহিলাদের সম্ভ্রম ও সুরক্ষার দায় কার? এরপরেও গদি আঁকড়ে থাকবেন?” সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “এই মুহূর্তে আপনার পদত্যাগ করা উচিত। দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।”
প্রসঙ্গত, ই এম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুরের নোনাডাঙায় জনবহুল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে এদিন সকালে উদ্ধার হয়েছে এক যুবতীর ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবতীকে অন্যত্র খুন করে আনন্দপুরে রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে ফেলে যাওয়া হয়েছে৷ প্রাতঃভ্রমণকারীরাই প্রথম ওই যুবতীর দেহ দেখতে পান৷ প্রথমে বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও পরে দেখা যায় সেটি একটি মহিলার দেহ। একেবারে রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ থানায় খবর দেয়। ওই মহিলাকে ওই এলাকায় তার আগে কখনো দেখা যায়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, অন্য জায়গায় খুন করে রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে মহিলার দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। দেহে আঘাতের দাগ আছে। স্থানীয় সিসিটিভি সহ একাধিক সূত্র ব্যবহার করে ঘটনার তদন্তকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে দাবি পুলিশ অধিকারীদের। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিভাবে খুন তাও পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আর জি কর কান্ড নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে এই দেহ উদ্ধার ঘিরে মহিলা সুরক্ষা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যে বাংলার লক্ষ্মীদের কোনো সম্মান নেই। এমনকি কোনো নিরাপত্তা নেই। একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী কাল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মী বারে বাংলার লক্ষ্মীদের পথে নামার ডাক দেন তিনি।