Bangladesh কালীমন্দির রক্ষা করার নামে ফটোশুট, মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পুরোহিতকে মেরে ঠাকুরের সব গয়না লুট

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৭ আগস্ট: পুরুষাঙ্গের একাংশ কেটে দেওয়া অর্থাৎ খতনা, মুসলিমদের চিহ্ণিতকরণের অন্যতম প্রধান উপায়। প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় বাংলাদেশের বর্তমান অশান্তির প্রেক্ষিতে সিএএর সুবিধাদানে সেই প্রসঙ্গের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন করেছেন।

বুধবার তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “মৃতদেহের চাদর বিছিন্ন করার পরে যেই দেখা গেল তিনি খতনাবিহীন, বীভৎস আনন্দ। তার মানে হিন্দু! সম্ভবত বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের সদস্য। ভারতকেও একইভাবে দেখতে হবে যাতে কোনও প্রতারক সিএএর সুবিধা না নেয়।”

অপর এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “জীবনে এই প্রথম দেখলাম পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা সেদেশের মুসলমানরা (শাহরিয়ার কবির, সালাম আজাদ বা তসলিমা প্রমুখেরা বাদে) স্বীকার করছে। যদিও একটা মন্দির পাহারা দিয়ে ছবি তোলার পাশাপাশি অন্তত দুশো হিন্দু বাড়িতে হামলা হয়েছে। তবু এটুকুর জন্যও ধন্যবাদ।”

এর পরেই ওই পাহারা দেওয়ার নেপথ্যের নেতিবাচক একটি তথ্য তথাগতবাবু এক্স হ্যান্ডলে রি-পোস্ট করেছেন। আবীর আরিয়ান ঘোষের ওই পোস্টে লেখা— “মৌলভীবাজার কালীমন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে মন্দির রক্ষা করার ফটোশুট করেছে আর তাদেরই কিছু লোক মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পুরোহিতকে মেরে ঠাকুরের সব সোনা, গয়না চুরি করেছে। ফটোশুট আর চুরির শেষে মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।“

শুভজিৎ মালাকারের পোস্ট পুনরায় এক্স হ্যান্ডলে ছড়িয়ে দিয়েছেন তথাগতবাবু। শুভজিৎ লিখেছেন, “এখন মমতার মরাকান্না কোথায়? কোথায় গেল সেইসব শিক্ষিত হাতুড়ে মার্কা বাম্বু ডিজিবিদের বুদ্ধি? মুসলিম ধর্মে আঘাত করলে কিংবা মসজিদ ভাঙ্গলে মমতা যেভাবে চিৎকার করে, বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের উপরে অত্যাচার হয় তখন মমতার মুখ থেকে একটিও কথা বেরোয় না কেন?”

এক্স হ্যান্ডলে অপর পোস্টে শুভজিৎ লিখেছেন, “আসলে স্যার, কৌশিক সেন, অপর্ণা সেন, পরমব্রত, শ্রীজাত— এদের মত কিছু হাতুড়ে মার্কা কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা এখন শীতঘুম দিয়েছে। আমার মনে হয় মার্কেটে বুদ্ধি আমদানি রপ্তানি হচ্ছে না তাই তাদের মাথাতেও বুদ্ধি শেষ হয়ে গেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *