আমাদের ভারত, ৬ আগস্ট:
বাংলাদেশ জুড়ে চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। কোনওভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং প্রতি মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আর এর মধ্যে বিক্ষোভকারীদের হামলায় মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের যশোর জেলায়। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ যশোরে আওয়ামি লিগের এক নেতার হোটেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলের ভিতরে আটকে জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হোটেলের আবাসিক। এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার একজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে খবর, যশোরে আওয়ামি লিগ নেতা শাহিন চাকলাদারের হোটেলে বিকেল চারটে নাগাদ আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাত আটটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হোটেলের পানশালা সহ বিভিন্ন অংশের মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর মেডিকেল কলেজের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত অন্তত দেড়শ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন সোমবার দুপুরে। তিনি বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে বিক্ষোভকারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি সম্পত্তির উপর হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে তাদের নিশানয় ছিল আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
সাতক্ষীরায় আওয়ামি লিগের এক নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে খুন করা হয়। গোটা সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে সংঘর্ষে সবমিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লায় আওয়ামি লিগের কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে ছয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কুমিল্লার তিতাস থানায় দুজন পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।