আমাদের ভারত, ৬ আগস্ট: গত ক’দিন ধরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সোমবার বিকেল থেকে তাদের ওপর অত্যাচারের খবর আসছে আরও বেশি মাত্রায়। একের পর এক ভাঙ্গচুর, অত্যাচার। বিভিন্ন অঞ্চলের ভিডিও মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিশ্বময়। মঙ্গলবার মোট ৫৬টি অঞ্চলের অভিযোগের লিখিত তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
এই অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশের ২৯টি অঞ্চলে ৪৫টি সংখ্যালঘু-নির্যাতনের নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করেন পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু আন্দোলনের মুখ অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ১১টি অঞ্চল। জায়গাগুলোর মধ্যে আছে শেরপুর (২), খুলনা (৩), ফেনী, দিনাজপুর (৫), নরসিংদি, লক্ষীপুর, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম (৬), যশোর (২), সাতক্ষীরা, হবিগঞ্জ, নড়াইল, বগুড়া (৪), পটুয়াখালি, পঞ্চগড় (২), নোয়াখালি, ঠাকুরগাঁও (২), ঝিনাইদহ (২), পাবনা, নীলফামারি (২), টাঙাইল, ঝালকাটি, শরীয়তপুর, লালমনিরহাট, ময়মনসিংহ (৩), নেত্রকোনা, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ, মাওয়া, ফরিদপুর (২), জয়পুরহাট, বাগেরহাট (২), পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা (২), সিলেট (২), ব্রাহ্ণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও নড়াইল।
এই অবস্থায় পরিষদের তরফে ছ’জনের স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেটির সদস্যসচিব হয়েছেন মণীন্দ্র নাথ।