জনতা কারফিউ’তে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে বাঁকুড়ার মানুষ

আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২২ মার্চ: সারা বিশ্বের সঙ্গে দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অতিসতর্কতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মমোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘জনতা কারফিউ’তে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন সাধারণ দেশবাসী। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাঁকুড়ার ছবিটাও তার ব্যতিক্রম নয়। জেলার প্রতিটি প্রান্ত এদিন অঘোষিত বন্ধের চেহারা নিয়েছে। হাতে গোনা সরকারী বাস কয়েকটি চললেও বেসরকারী বাস সহ অন্যান্য যানবাহন পথে নামেনি।

বাঁকুড়া গোবিন্দ নগর বাসস্ট্যাণ্ডের চিরচেনা ছবিটা উধাও। সার সার দিয়ে যাত্রীবাহী সব বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাঁকুড়া স্টেশনের ছবিটাও ঠিক একই রকম। লোকাল ট্রেন চলাচল করছে না। সকালের দিকে একটি মালগাড়ি যেতে দেখা গেছে। অনেকেই ভোরের ট্রেনে স্টেশনে পৌঁছে আটকে গেছেন। পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধের পাশাপাশি দোকান বাজারও বন্ধ। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না।

শহরের পাশাপাশি এদিন একই ছবি ধরা পড়লো জেলার গ্রামীণ এলাকা গুলিতেও। জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই দোকান পাট বন্ধের পাশাপাশি রাস্তায় কোনও যানবাহনের দেখা মেলেনি। তবে প্রায় সর্বত্রই ওষুধ দোকান খোলা থাকলেও খরিদ্দারের দেখা মেলেনি।

কর্মসূত্রে গুজরাট থেকে ফেরা বর্ধমানের বাসিন্দা রাঘব সাঁতরা জনতা কার্ফুর জেরে বাঁকুড়া স্টেশনে আটকে পড়েছেন। স্টেশন চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, এদিন ভোর পাঁচটায় এখানে নেমেছি। কোনও যানবাহন চলাচল করছে না। এই অবস্থায় দীর্ঘ ট্রেন যাত্রা শেষে কিভাবে বাড়ি পৌঁছাবেন ভেবে পাচ্ছেন না বলে তিনি জানান।

একই অবস্থা আসানসোলের বিক্রম সিং এরও। তিনি খড়্গপুর থেকে সরাসরি ট্রেনে বাঁকুড়ায় ফিরেছেন। এখন এই অবস্থায় স্টেশন চত্ত্বরেই সারাটা দিন কাটানো ছাড়া তার কোনো উপায় নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *