আমাদের ভারত, ২৬ ফেব্রুয়ারি: অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে মহাশিবরাত্রির দিন প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে সমগ্র বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় গঙ্গাস্নান করলেন হিন্দু মহাসভার সদস্যরা। এরপর তাঁরা গঙ্গাজল নিয়ে প্রয়াগে দেবাদিদেব মহাদেবের “মন কামেশ্বর” মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢাললেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয়ে হিন্দুমহাসভার বক্তব্য, মহাকুম্ভের গঙ্গাজল যুগ যুগ ধরে ভারতের আত্মা, সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। তবে তীর্থ করতে এসে ভিড় এবং দুর্ঘটনায় পুণ্যার্থীদের মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় যোগী প্রশাসন এবং কুম্ভমেলা আয়োজক কমিটির আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের মতামত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু মহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা।
মহাকুম্ভের গঙ্গাজলে শিবরাত্রি উজ্জাপন প্রসঙ্গে হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, গঙ্গানদীর অলৌকিক গুণ বিজ্ঞানীদের মনেও বিস্ময়ের উদ্রেক করে। গঙ্গাজলের স্ব-পরিশোধিত ক্ষমতার জন্য কোনো ভয়াবহ রোগ জীবাণু এই জলে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না এবং সাধারণ বিশুদ্ধ জলের চেয়ে গঙ্গাজলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ বহুগুণ বেশি।
গঙ্গাজলের এই অভাবনীয় ক্ষমতা ও জীবাণুনাশক গুণ ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম আবিষ্কার করেন বিখ্যাত ইংরেজ বিজ্ঞানী হ্যাঙ্গরি হেনকিন এবং ১৯২৭ সালে আবিষ্কার করেন বিখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী ফিলিক্স। বর্তমানেও এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে। মূলত এই বিষয়কে জনসমক্ষে এনে আমরা বার্তা দিতে চাই— ভারতীয় সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতা যে কোনো রকম রাজনৈতিক তর্জার ঊর্ধ্বে এবং সেই জন্যেই আমরা হিন্দুমহাসভা পশ্চিমবঙ্গ প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের জল দিয়ে এই বছর শিবরাত্রি উজ্জাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।