আমাদের ভারত, ২৩ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের জয়ের পর বিজেপি সদর দপ্তরে ভাষণ থেকে কংগ্রেসকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল হাত শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ। পরিবারতন্ত্র থেকে তোষণের রাজনীতি একাধিক ইস্যু ধরে ধরে কংগ্রেসকে নিশানা দাগেন মোদী। মারাঠাভূম জয়ের পর জম্মু-কাশ্মীর নিয়েও বড় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানো হবে না বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স কংগ্রেস জোট। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওমর আব্দুল্লাহ। কিন্তু সেটা যে হচ্ছে না তা এদিনের বক্তব্যে আবারো জানিয়ে দিয়েছেন মোদী।
কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, অনেক দল দেশে দু’রকম সংবিধান চায়। মহারাষ্ট্র জয়ের পর আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, দেশে শুধু বাবা সাহেব আম্বেদকরের সংবিধান থাকবে। কোনো দ্বিতীয় সংবিধান হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে চাইছেন অনেকে, কিন্তু আমি আজ বলে দিচ্ছি কেউ চাইলেও জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবেন না।
তোষণের রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, তোষণের জন্য ওয়াকফ আইন তৈরি করে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের তোয়াক্কা তারা করেননি। সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনো জায়গাই নেই। ভোট ব্যাঙ্ক ও তোষণের জন্য আলাদা করে ওয়াকফ আইন বানিয়েছে কংগ্রেস।
এছাড়াও কংগ্রেসের শহুরে নকশালবাদ এখন দেশের নতুন চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস এই নকশালবাদের মূল বীজ বপন রয়েছে বিদেশে, দাবি করেছেন মোদী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস বাল সাহেব ঠাকরের আদর্শ মানের না। বীর সাভারকার’কে অপমান করে এসেছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে ভোট বৈতরণী পার করতে কয়েক দিন গালিগালাজ বন্ধ রেখেছে। আর এখান থেকেই কংগ্রেসের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বিজয় ভাষণে কংগ্রেসকে পরজীবী পার্টি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, নিজের দমে সরকার গড়ার ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের। তবু অহংকার সপ্তমে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে বলে দাবি তাঁর। মোদীর কথায়, কংগ্রেসের পুরনো কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাড়ির ভরাডুবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেস নিজেও ডোবে অপরকেও ডোবায়। মহারাষ্ট্রের ফলাফলেই তা স্পষ্ট। মহা বিকাশ আঘাড়ির শরিক দলকে ডুবিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। ভাগ্য ভালো উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে জোট। না হলে সেখানেও একই ফল হতো।