সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৪ নভেম্বর: মেলার মাঠ থেকে পাশের একটি পরিচিত বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নাবালিকাকে সিঁদুর পড়িয়ে বিভিন্ন ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। লোকলজ্জার ভয়ে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলো ওই কিশোরী। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রবিবার রাতে গাইঘাটা থানার ঢাকুরিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় একটি মেলার আসর বসেছিল। সেখানেই পরিচিতদের সঙ্গে গিয়েছিল বছর ১৩ বয়সের ওই কিশোরী। অভিযোগ, ওই মেলা থেকে প্রদীপ ঘরামি নামে কিশোরীর পরিচিত এক যুবক তাকে ডেকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও কয়েকজন যুবক আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, সেখানে তাদের মেয়েকে জোর করে তরল পানীয়র সঙ্গে মাদক খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা চাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কিশোরীকে সিঁদুর পরিয়ে সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার সকালে ওই কিশোরীকে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অ্যাসিড খাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রদীপ ঘরামির বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। যদিও ধৃত যুবকের দাবি, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তার অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘটনার পেছনে অঙ্কন দাস নামে অন্য এক যুবক জড়িত। অঙ্কন দাস নাকি ওই নাবালিকাকে বিয়ে করে গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘নাবালিকার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের কঠোর সাজার দাবি জানাচ্ছি।’