সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৪ নভেম্বর: ফোনে কথা বলতে বলতে লাইন পার হচ্ছিলেন মহিলা আইনজীবী। ওই লাইনে যে ট্রেন আসছে সেদিকে হুঁশ ছিল না তাঁর৷ ফোনে ব্যস্ত থাকায় ট্রেনের হর্নও তাঁর কানে পৌঁছোয়নি৷ ফলে মহিলা আইনজীবীকে পিষে দিয়ে চলে গেল ট্রেন ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাইনে।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আইনজীবীর নাম বন্দনা মাইতি (৫৮)। ঘটনার পর তাঁর সহকর্মীরা মহিলা আইনজীবীর দেহটি শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা বারাসত মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় জিআরপি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলা আইনজীবীর বাড়ি দমদমে। তিনি বারাসত আদালতের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ বারাসত স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাইন পেরিয়ে নিজের কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আপ বনগাঁ লোকাল ওই লাইনে এসে পড়ে। ট্রেনটি বারবার হর্ন দেওয়ার পরেও তিনি তা শুনতে পাননি বলে খবর রেল সূত্রে। তখনই ট্রেনের ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বন্দনাদেবী। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বারাসত জিআরপি সূত্রে খবর, ওই মহিলা ফোন কানে দিয়ে কথা বলতে বলতে লাইন পেরচ্ছিলেন। ফোনে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে অপর দিক থেকে ট্রেনের হর্নের শব্দ তিনি শুনতে পাননি। তার জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্টেশনে ছুটে আসেন বারাসত আদালতের আইনজীবীরা। তাঁরাই প্রথমে বন্দনাদেবীর দেহ শনাক্ত করেন। পরে, খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনকে। আচমকা সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক সকলে। তবে এই দুর্ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল, রেললাইন পারাপারের সময় ফোনে কথা বলা কতটা বিপজ্জনক।
রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণকে বার বার এই বিষয়ে সচেতন করা হয়৷ বিভিন্ন স্টেশনে দিনভর মাইকে ঘোষণাও চলে। তারপরও তাঁরা সচেতন হননি। এমনকী একজন আইনজীবীরও এতটুকু যে হুঁশ নেই, তা স্পষ্ট এই ঘটনায়।