Barasat government hospitals from the debris of the human body Authorities in the face of questions
সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা,
১৪ নভেম্বর: ময়লা ফেলার ভ্যাটে মানুষের দেহাংশ। ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে বারাসতের সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনদের নজরে আসে বিষয়টি। ভ্যাটে মানুষের দেহাংশ ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়। প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন, সদ্যোজাতর দেহ। পরে দেখা যায়, সদ্যোজাত নয়, পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দেহাংশ। কীভাবে তা ভ্যাটে এল, তা নিয়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে। ভ্যাটের গাড়িতেপড়ে রয়েছে মাথা, হাত, চোখ, দাঁত সহ শরীরের একাধিক অংশ। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত মেডিক্যাল কলেজের বাইরের ভ্যাট থেকে দেহের একাধিক কাটা টুকরো উদ্ধার হয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও সকালে সাফাই কর্মীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভ্যাট সাফ করতে এসেছিলেন। জঞ্জাল সাফ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন, ভ্যাটে রক্ত ও দেহাংশ পড়ে। সূত্রের দাবি, হাত-পায়ের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। রয়েছে চোখের অংশও। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। খবর যায় হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: সুহৃতা পালের কাছে। এদিকে সকাল থেকেই হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের সাফাই বিভাগের কর্মী নিতাই মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিনই হাসপাতালে নোংরা আবর্জনা এই স্তুপে রাখতে আসি। আজ এসে দেখলাম একজন মানুষের দেহ পড়ে রয়েছে খণ্ডবিখণ্ড অবস্থায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েছি।”
এ নিয়ে হাসপাতালের সাফাই বিভাগের সুপারভাইজার রণজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা কোনও বেওয়ারিশ দেহ নয়। মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য দেহ আনা হয়েছে। সেটি ওখানে ফেলে রেখেছে
হয়তো মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। এটা সরিয়ে দেওয়া হবে।”
রাজ্যের মধ্যে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল একমাত্র যার মূল দরজা রাতভর খোলা থাকে। হাসপাতালের ৫টি মূল দরজা দিয়ে অবাধে যে কেউ যাতায়াত করতে পারে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে নয়া নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতাল সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তার পরেও দেহ পড়ে থাকার ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।