অমরজিৎ দে, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৫ মে:
ব্যয়বহুল হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করে নজির সৃষ্টি করলো ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শান্তনু পট্টনায়েক ও অ্যানাস্থিসিয়ার ডাঃ ইমন ভক্তা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন থানার কাঁটাপাল গ্রামের এক রোগীর বাম পাশের হিপ জয়েন্ট সফল ভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এধরনের অস্ত্রপ্রচার প্রথম। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা পেয়ে খুশি রোগীর পরিবার।
জানা গিয়েছে, সুবল দাস নামে দাঁতনের কাঁটাপাল এলাকার এক ব্যক্তি হিপ জয়েন্টের ব্যাথা নিয়ে কয়েকদিন আগে নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে আসেন। এর আগে রোগী কটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছিলেন, তবে হিপ জয়েন্টের হাড়ে ক্ষয় ধরায় সমস্ত জায়গার চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দেন এবং জানান, তবে খরচ তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হতে পারে। টাকা জোগাড় করতে না পারায় রোগী শেষ পর্যন্ত নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের দ্বারস্থ হন। সেই মতো চিকিৎসকরা এমআরআই সহ একাধিক পরীক্ষা করে হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপনের সরঞ্জাম নিশ্চিত করে অপরেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো আড়াই ঘণ্টা অপারেশনের পর রোগীর হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন হয়।
হাসপাতাল সুপারের কথায় রোগী বর্তমানে সুস্থ, কথা বলছেন। এই ধরনের অপারেশন এই প্রথম নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে হলো। সুবলবাবুর স্ত্রী মৌসুমী দাস বলেন, আমরা ওড়িশা ও এখানেও অনেক জায়গায় ডাক্তার দেখিয়েছি, কিন্তু সব জায়গায় অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন, কিন্তু অপারেশন করতে লাগবে তিন লক্ষ টাকা। কিন্তু টাকার অভাবে আমরা অপারেশন করতে পারছিলাম না। আমরা তারপর নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আউটডোরে দেখাই। ডাক্তারবাবুদের অনুরোধ করার পর অপারেশন করতে রাজি হন। সম্পুর্ন বিনামূল্যে অপারেশন হল এখন আমার স্বামী ভালো আছেন।