আমাদের ভারত, ১৫ মে: ভারতের একাধিক বিমানবন্দরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা তুরস্কের বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থা সেলেবি এভিয়েশনের লাইসেন্স বাতিল করলো ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের সময় ইসলামাবাদের পাশে ছিল তুরস্ক। আর সেই দেশের সংস্থা কাজ করছে ভারতে। যুদ্ধ বিরতি হলেও মনে করা হচ্ছে এরফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
পাকিস্তানকে ভারতে হামলা চালাতে ড্রোন দিয়ে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। এমনকি পাকিস্তানে সেনাও পাঠানো হয়েছিল। কারণ ভারত- পাক যুদ্ধে তুরস্কের জওয়ান নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছিল যে, বিশ্বাসঘাতক তুরস্কের সংস্থার হাতে ভারতের বিমানবন্দরগুলির দায়িত্ব থাকা কতখানি নিরাপদ?
শেষ পর্যন্ত তুরস্কের সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল নয়া দিল্লি। প্রিমিয়াম এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সার্ভিস দিয়ে থাকে তুরস্কের সংস্থা সেলেবি এভিয়েশন। ভারতসহ বিদেশের বহু বিমানবন্দরের দায়িত্বে রয়েছে সেলেবি। ভারতে দুটি আলাদা নামে গ্রাউন্ড অপারেশনের কাজ করে স্যালেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিস ইন্ডিয়া এবং সেলেবি দিল্লি কার্গৌ টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট ইন্ডিয়া।
ভারতের নয়টি বিমানবন্দর দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, আমেদাবাদ, গোয়া, কোচিন এবং কোন্নূরের গ্রাউন্ড অপারেশনের কাজ করে সেলেবি। ভারতে এই সংস্থাটির কর্মী সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত হাজারের বেশি।
পেহেলগাঁও হামলার পরে পাক বন্ধু তুরস্কের ভূমিকা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তুরস্কের সংস্থাকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর গুলিতে কাজ করতে দেওয়া কতটা যুক্তিগ্রাহ্য ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেছেন যে এতে জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। তারপরই সেলেবি এভিয়েশনের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে জে এন ইউ এবং জামিয়া, মিলিয়া, ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে।