আমাদের ভারত, ২৯ জুন: বাংলাদেশের এবার সংখ্যালঘু হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত ফজর আলী। সে বিএনপির স্থানীয় নেতা বলে জানাগেছে। নির্যাতিতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে চাপে পড়ে পদক্ষেপ করে পুলিশ, বলে দাবি স্থানীয় হিন্দুদের।
বাংলাদেশের মুরাদনগর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। ২৬ জুন ২৮ বছর বয়সী এক তরুণী
বঁধুকে ধর্ষণ করা হয়। রাত দশটা নাগাদ কার্যত জোর করে এর ওই তরুণীর বাপের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৩৮ বছর বয়সী ফজর। নির্যাতিতার ওপর অত্যাচার চালায় সে।
নির্যাতিতার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী দুবাইতে কর্মরত। হরিসেবা উৎসব উপলক্ষে সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন ওই নির্যাতিতা। রাতে ঘরের দরজা ধাক্কালেও দরজা খুলতে রাজি হয়নি নির্যাতিতা, কিন্তু তাতেও আটকানো যায়নি ফজরকে। দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে ঢুকে নির্যাতিতাকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার রাতেই স্থানীয়রা ফজরকে ধরে বেধড়ক মারধর দেয়। কিন্তু ভিড়ের হাত থেকে সে পালিয়ে যেতে সফল হয়। এরপর রবিবার ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ জুন মামলা দায়ের হয় থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই মুহূর্তে কুমিল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফজর। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জনতার হাতে মার খেয়ে আহত ফজর। আত্মগোপনে চেষ্টা করে সে, কিন্তু তাকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি চারজনকেও আটক করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের দপ্তরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কারণ তারা নির্যাতিতার ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। চাপে পড়ে পদক্ষেপ করে তারা।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজার আহমেদ খান জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর। অভিযুক্তকে খুঁজে বার করতে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন তারা। লোকেশন ট্র্যাক করে ফজরের অবস্থান জানা যায়। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।