আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৯ জুন: ফুটপাত ব্যবসায়ী এবং তাদের পরিবারের আন্দোলনের চাপে পিছু হঠল পুরসভা ও রেল। তবে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী সেটা জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান।
প্রথমদিন রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুর এবং পরের দিন ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুরসভা এবং প্রশাসন। শনিবার ঠিক ছিল রামপুরহাট ডাকবাংলো মোড় থেকে কামারপট্টি পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে। সেই মতো আগেই অধিকাংশ দোকানদার তাদের সামগ্রী বের করে অস্থায়ী দোকান সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে কিছু দোকান এখনও তাদের দোকান সরিয়ে নেননি। উল্টে তারা আন্দোলনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো এদিন সকাল ছয়টা থেকে রামপুরহাট ডাকবাংলা মোড়ে জমায়েত হন ফুটপাত ব্যবসায়ী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে সব দল রাস্তায় নামে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ,রামপুরহাট পুরসভার কাউন্সিলর সিপিএমের সঞ্জীব মল্লিক, প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের মিল্টন রশিদ, দলের জেলা কমিটির সদস্য শাহাজাদা হোসেন কিনু, তৃণমূলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতা টোকন শেখ আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন। বেলার দিকে রেল পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গেলে বাধা দেয় আন্দোলনকারীরা। ঘণ্টা দু’য়েক পর তারা ফিরে যায়। তবে এদিন পুরসভা কিংবা মহকুমা প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।
আন্দোলনে সামিল ফিরোজা বিবি বলেন, “আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না। আমাদের দোকান অক্ষত রাখা হোক। এবার দোকান ভাঙ্গতে এলে আমরা জেসিবি মেশিনের নিচে শুয়ে পড়ব। আমাদের উপর দিয়ে জেসিবি চালাতে হবে”।
শাহাজাদা হোসেন কিনু বলেন, “আমরা উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার রাজ দেখেছি। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বুলডোজার দেখছি। এই সরকার কোনরকম পরিকল্পনা ছাড়াই বুলডোজার দিয়ে দোকান ভাঙ্গা শুরু করেছে। তারই প্রতিবাদে আমরা সকাল থেকে আন্দোলনে নেমেছি। একটি দোকানেও বুলডোজার চালাতে দেব না”।
সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “গায়ের জোরে মানুষের রুটিরুজি কেড়ে নিতে আমরা দেব না। আলোচনার মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তবেই ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা রেলের আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি”।