আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৫ মার্চ: বুনিয়াদপুরে নগ্ন অর্ধদগ্ধ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শাশুড়ি বউমার পারিবারিক কলহের কাহিনী সামনে আনলো পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত মহিলার পরিচয় উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার ছেলে ও বউমাকে। যদিও পুলিশের দেওয়া তথ্যের সাথে কথার অসঙ্গতি মিলেছে গ্রেপ্তার হওয়া মৃতার ছেলের। পুলিশ জানায় মৃত মহিলার নাম বিন্দুরানী মন্ডল। ষাটোর্দ্ধ ওই বৃদ্ধ মহিলার মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই সুত্রের খবর। এদিন ধৃত রাম প্রসাদ মন্ডল এবং তাঁর স্ত্রী রূপারানী মন্ডলকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, পারিবারিক একাধিক কারণে শাশুড়ির সাথে অশান্তি চলত বউমা রূপারানীর। বৃদ্ধ শাশুড়িকে মারধর সহ মাঝে মধ্যেই গলা টিপে ধরতেন ওই গৃহবধূ বলেও অভিযোগ। সোমবার বাড়িতে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ফের শাশুড়ির সাথে বিবাদে জড়ায় গৃহবধূ বলে অভিযোগ। যেখানেই ষাটোর্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তার পরেই শ্মশানে নিয়ে গিয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে ওই মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ছেলে ও বউমা বলেও সূত্রের খবর। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পারিবারিক বিবাদের কারণে বৃদ্ধা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে ভয় পেয়ে যায় মৃতার ছেলে বউ। তার পরেই মৃতদেহ আগুন ধরিয়ে শ্মশান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এদিন আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত রামপ্রসাদ মন্ডল বলেন, তার মা নিখোঁজ ছিল সোমবার থেকে। কিভাবে এটা হয়েছে তা তারা জানেন না।
মৃতার আত্মীয় মিষ্ঠু কীর্তনিয়া জানিয়েছেন, কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন তিনি।
প্রতিবেশী শিপ্রা মন্ডল বলেন, মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতে অশান্তি চলত। তবে কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে কিছু জানা নেই।
বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যা করে মহিলা। কিছুটা ভয় পেয়ে ওই মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।