আমাদের ভারত, ৩০ নভেম্বর: ইতিমধ্যেই কৃষকদের বিক্ষোভ উত্তাল হচ্ছে রাজধানী দিল্লির উপকন্ঠ এলাকা। রবিবার রাতেই এই কৃষক সমাবেশ নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এরপর সোমবার বারানসীতে নয়া কৃষি আইন নিয়ে আবার একবার কৃষকদের ভুল ধারণা দূর করার চেষ্টা করলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নয়া কৃষি আইনে কৃষকরা আরও বেশি দামে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করার স্বাধীনতা পাবে। তার কথায় কয়েক দশক ধরে মিথ্যে বলে কৃষকদের মনে ভুল ধারণা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই তিনি বলেন,” আমি মা গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে বলছি কৃষকদের ঠকানোর কোনো উদ্দেশ্যই আমাদের নেই”।
মোদী আরও বলেন, নয়া কৃষি আইনে যে খোলাবাজারের কথা বলা হয়েছে তাতে কখনোই আগেকার মান্ডি উঠে যাবে না বরং তাকে আরও বেশি উন্নত করা হবে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়াও বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে আগের ব্যবস্থা ভালো ছিল তাহলে তাকে কে আটকাচ্ছে?
এদিন বেনারসে জাতীয় সড়ক উদ্বোধন করতে গিয়ে মোদী বলেন, নয়া কৃষি আইনে চাষীদের সামনে অনেক বেশি সুযোগ এনে দেবে। তারা আর্থিক দিক থেকে আরো বেশি নিরাপত্তা পাবেন। দেশ বিদেশের বাজারে ইচ্ছা মত খুব সহজে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
কেন্দ্র সরকারের নয়া তিনটি আইনের বিরুদ্ধে মূলত আন্দোলন শুরু করেছে কৃষকরা। সেই মিছিলে কৃষকদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দেগেছে হরিয়ানা পুলিশ। সেই ঘটনার একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিল্লিতে আসা বিক্ষোভরত কৃষকদের অমিত শাহ বলেছিলেন একটি শর্তে সরকার তাদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসতে রাজি। শর্তটি ছিল বিক্ষোভকারীরা যেখানে সেখানে জমায়েত করতে পারবে না। তাদের দিল্লির উপকণ্ঠে বুরারি অঞ্চলের জমায়েত করতে হবে। আন্দোলনকারীরা সেই শর্ত রাখতে অস্বীকার করেন। এরপর রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আন্দোলনরত কৃষকরা হুমকি দিয়েছেন তারা দিল্লিতে ঢোকা বেরোন পাঁচটি রাস্তা বন্ধ করে দেবেন। যে পাঁচটি রাস্তা তারা বন্ধ করে দেবেন সেগুলি হল সোনিপথ -রহতাক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ এবং মথুরা। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিশ মানুষের কাছে আবেদন করেছেন ওই রাস্তাগুলি এড়িয়ে চলতে।
কৃষকরা জানিয়েছেন তারা সরকারের সঙ্গে খোলা মনে বৈঠকে বসতে চান। কিন্তু কেন্দ্র সরকার আলোচনার পূর্ব শর্ত আরোপ করেছে। তারা বুরারি যাবেন না। কারণ তাদের আশঙ্কা ওই জায়গাটিকে অস্থায়ী জেল খেলা বানিয়ে ফেলা হতে পারে। এর আগেও শহরের পাঁচটি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেল বানানোর জন্য কেজরিওয়াল সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেই কারণেই এই আশঙ্কা করছেন তারা অনেকে।